পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ దీశ్రీ সমাহিত করা হইয়াছিল। গঙ্গাতীরে তাহার উচ্চ সমাধি-মন্দির বহুদূর হইতে দেখিতে পাওয়া যায়। লেডি ক্যানিংএর নাম হইতে বাঙালীর সুপ্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন লেডিকেনীর নাম হইয়াছে। এখনও ভারতবর্ষের গভর্ণর-জেনারল কলিকাতায় আসিলে বারাকপুর প্রাসাদে কয়েকদিন কাটাইয়া থাকেন। বারাকপুরের অন্তর্গত মণিরামপুর পল্লীতে প্রসিদ্ধ জননায়ক বাগী-প্রবর স্বগীয় স্বরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের বাসভূমি এবং এই স্থানেই তাহার মৃত্যু হইয়াছিল। এখানে একটি ঘোড়দৌড়ের ময়দান আছে। " ঘোড়দৌড়ের মাঠ, বারাকপুর পল্‌ত -কলিকাতা ইষ্টতে ১৫ মাইল। স্টেশনের নিকটে ভাগীরথীকৃলে কলিকাতার জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের বিরাট কারখানা এখানে অবস্থিত। ইহা একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য। ইছাপুর কলিকাতা হইতে ১৭ মাইল দূর। এখানে অর্ডন্যান ফ্যাক্টরী বা সরকারী অস্ত্ৰ শস্ত্র প্রস্তুতের কারখানা অবস্থিত। প্রথমে ওলন্দাজগণ এই কারখানা বাটীর মালিক ছিলেন। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে এখানে ইংরেজ সরকারের কারখানা স্থাপিত হয় এবং ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে এখানে সৰ্ব্বপ্রথম রাইফেল প্রস্তুত হয় । সম্প্রতি স্টেশনের নিকটে শিখদিগের একটি গুরুদ্বার নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইছাপুর সটেশন হইতে দেড় মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে গঙ্গাতীরবর্তী নবাবগঞ্জ গ্রামে রাসের সময় পক্ষকালস্থায়ী একটি বৃহৎ মেলা হয় । শু্যামনগর -কলিকাতা হইতে ১৯ মাইল দূর। সটেশনের অতি নিকটে স্থাযোড়ের প্রসিদ্ধ কালীবাড়ী ও দ্বাদশ শিব মন্দির অবস্থিত। কলিকাতা পাথুরিয়াঘাটার গোপীমোহন ঠাকুর কর্তৃক এই কালীবাড়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। কথিত আছে, গোপীমোহনের সাত বৎসর বয়স্ক কন্যা ব্রহ্মময়ীর মৃত্যু হইলে তাহার শব গঙ্গার স্রোতে ভাসিতে ভাসিতে মূলাযোড়ের ঘাটে গিয়া লাগে। সেই রাত্রেই গোপীমোহন স্বপ্নে