পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ 이 이 তাহাতে সিদ্ধিলাভও করেন । হালিশহরে তাহার পঞ্চবটী ও সাধন বেদী আজিও বর্তমান আছে । সম্প্রতি রামপ্রসাদের স্মৃতিরক্ষা কল্পে এখানে একটি স্মৃতি মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। কালী পূজার সময় এখানে বিশেষ ধুমধাম হয় এবং “প্রসাদ মেলা” নামে একটি মেলা বসে। রামপ্রসাদের শ্যামাবিষয়ক গান গুলি খুবই বিখ্যাত এবং যে বিশেষ সুরে উহা গীত হয় তাহ “রামপ্রসাদী সুর” নামে পরিচিত। শু্যামা সঙ্গীত ছাড়া রামপ্রসাদ বিদ্যাসুন্দরের পালা অবলম্বনে একখানি কাব্য রচনা করেন এবং কৃষ্ণনগরের গুণগ্রাহী মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের নিকট হইতে “কবিরঞ্জন” উপাধি প্রাপ্ত হন। রামপ্রসাদের সমসাময়িককালে হালিশহরে অযোধ্যারাম গোস্বামী বা আজু গোঁসাই নামে জনৈক বৈষ্ণব ভক্ত বাস করিতেন । ইনিও উপস্থিতমত সঙ্গীত রচনা করিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন । রামপ্রসাদ কোন গান রচনা করিলে ইনি তাহার উত্তর স্বরূপ অপর একটি গান রচনা করিতেন । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র অনেক সময়ে এই দুই সঙ্গীত-নিপুণ কবিকে একত্র করিয়া রামপ্রসাদের পঞ্চবটী, হালিশহর উভয়ের সঙ্গীত-যুদ্ধ উপভোগ করিতেন। রামপ্রসাদের সাধন-শক্তি সম্বন্ধে বহু কিংবদন্তী প্রচলিত আছে । কথিত আছে যে একবার স্বয়ং ভগবতী কন্যার রূপ ধারণ করিয়া তাহার বেড়া বাধিবার দড়ি ফিরাইয়া দিয়াছিলেন। একদিন আজু গোসাই গঙ্গাস্নানান্তে কমণ্ডলুতে করিয়া গঙ্গাজল লইয়া ফিরিতেছেন, এমন সময়ে পথে রামপ্রসাদ তাহাকে ছুইয়া ফেলেন। আজু গোসাই ইহাতে অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং বলেন যে স্বরাপায়ী তান্ত্রিক সাধক রামপ্রসাদের স্পর্শে র্তাহার কমণ্ডলু মধ্যস্থ গঙ্গাজল অপবিত্র