পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գb- বাংলায় ভ্রমণ হইয়া গিয়াছে। জল ফেলিয়া দিয়া তিনি পুনরায় স্নানান্তে গঙ্গাজল লইয়া গেলেন, কিন্তু বাটতে গিয়া আহ্লিক করিবার সময় দেখিলেন যে কমণ্ডলুর জল মষ্ঠে পরিণত হইয়াছে। তখন রামপ্রসাদের প্রভাব বুঝিতে পারিয়া তিনি তাহার নিকট গিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন । আরও প্রবাদ আছে যে নবাব সিরাজউদৌলা একদিন নৌকার উপর হইতে রামপ্রসাদের মৰ্ম্মস্পশী গান শুনিয়া বিশেয মুগ্ধ হন এবং তাহাকে স্বীয় বজরায় আনয়ন করিয়া বহুক্ষণ ধরিয়া তাহার গীতি-সুধা পান করেন । “কাশীখণ্ড” নামক প্রসিদ্ধ গ্রন্থে ভাস্কর্যা শিল্পে সুদক্ষ হালিশহরবাসী নয়ন ভাস্করের উল্লেখ আছে। রেলের ওয়ার্কশপ, কঁচড়াপাড়। হালিশহরের আধুনিক দ্রষ্টব্যের মধ্যে স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মঠ উল্লেখযোগ্য। স্টেশন হইতে হালিশহর গ্রাম প্রায় তুষ্ট মাইল দূর । পৰবৰ্ত্তী স্টেশন র্কাচড়াপাড়ায় নামিয়া ঘোড়ার গাড়ীতে করিয়া হালিশহর যাওয়াই সুবিধা । কাচড়াপাড়া-কলিকাতা হইতে ১৮ মাইল দূর। এই খানেই চব্বিশ পরগণা জেলার শেষ এবং ইহার পরেই নদীয়া জেলার আরম্ভ। এই স্থানে পূৰ্ব্ব-বঙ্গ রেলের ইঞ্জিন মেরামত ও গাড়ী তৈয়ারী করিবার কারখানা অবস্থিত। বড় মাপের লাইনের সমস্ত গাড়ীই এখানে প্রস্তুত হয়। যেখানে ওয়ার্কশপ অবস্থিত তাহার পুরাতন নাম বীজপুর। পূৰ্ব্বে বীজপুরে “ডাকাতে কালী” নামে এক কালী ছিলেন। কথিত আছে ডাকাতের এই কালীর নিকট নরবলি দিয়া ডাকাতি করিতে বাহির হইত। যে বৃক্ষমূলে এই কালীর মন্দির ছিল উহা এখনও বর্তমান আছে । কঁাচড়াপাড়ার রেলওয়ে উপনিবেশ একটি সুদৃশ্ব শহর। উদ্যান, ক্রীড়াক্ষেত্র, রাজপথ, বিছাদালোক, কলের জল, বিদ্যালয়, ভজনাগার, প্রমোদগুহ কোন কিছুরই এখানে অভাব নাই ।