পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b е বাংলায় প্রমণ যশোহররাজ প্রতাপাদিত্যের খুল্লতাত পুত্র রাঘব বা কচুরায় দিল্লী হইতে “যশোরজিৎ” উপাধি ও বাদশাহী সনন্দলাভ করিবার পর কৃষ্ণরায়ের নূতন মন্দির নির্মাণ করাইয়া দেন ও নিতা সেবা নিৰ্ব্বাহের জন্য "কৃষ্ণবাটা" নামে একটি নিষ্কর তালুক জায়গীর দেন । এই মন্দির গঙ্গাগর্ভে নিমজ্জিত হইবার পর কৃষ্ণরায়ের বর্তমান মন্দির ১৭৮৫ খৃষ্টাব্দে কলিকাতা নিবাসী নিমাইচরণ ও গেীরচরণ মল্লিক মহাশয়দ্বয়ের ব্যয়ে নিৰ্ম্মিত হয়। এই মন্দিরের কারুকার্য্য অতি সুন্দর। রথের সময় কাচড়াপাড়ায় বিশেষ সমারোহ হয় । কুলিয়ারপাটের মন্দির সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন সংবাদপত্র “প্রভাকর" সম্পাদক ও বঙ্কিমচন্দ্র প্রমুখ মনীষিগণের সাহিত্যগুরু সুকবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত কঁাচড়াপাড়ার অধিবাসী ছিলেন । ইংরেজী প্রভাব বর্জিত থাটি বাঙালীর ধরণে র্যাহার কবিতা লিখিতেন ঈশ্বর গুপ্ত র্তাহাদিগের সর্ববশেষ কবি । এই কবির জন্মস্থান হিসাবে কাচড়াপাড়া বঙ্গসাহিত্যানুরাগী ব্যক্তি মাত্রেরই দ্রষ্টব্য স্থান। বিখ্যাত স্তায়শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত নিমৰ্চাদ শিরোমণি ও তুলসীরামায়ণ ও অদ্ভুত রামায়ণের বঙ্গানুবাদক হরিমোহন গুপ্ত কঁাচড়াপাড়ার অধিবাসী ছিলেন। কঁাচড়াপাড়ার নিকটবৰ্ত্তী সুবর্ণপুর গ্রাম সুপ্রসিদ্ধ “আৰ্য্য-দর্শন" সম্পাদক যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের জন্মস্থান। যোগেন্দ্রনাথের “গ্যারিবল্ডির জীবন চরিত” “ম্যাটসিনির জীবন চরিত” ও “জন স্টয়ার্ট মিলের জীবন চরিত” প্রভৃতি বহু গ্রন্থ এক সময়ে