পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ b-> , সাহিত্যে বিশেষ সমাদর লাভ করিয়াছিল। বাংলার জাতীয় ভাল উদ্দীপনে যোগেন্দ্রaাথের দান নিতান্ত সামান্ত নহে । কাচড়াপাড়া স্টেশন হইতে প্রায় তিন মাইল উত্তর-পূর্বে নদীয়া জেলায় অপরাধভঞ্জন” বা কুলিয়ারপাট অবস্থিত। এখানে একটি সুন্দর মন্দিরে গৌর নিতাই বিগ্রহের নিত্য পূজা হয়। এখানকার দ্বাদশবকুল নামক কুঞ্জ বৈষ্ণবগণের নিকট অতি প্রিয়। প্রতিবৎসর অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণ একাদশী তিথিতে এখানে তিন দিন ব্যাপী একটি বিরাট মেলা হয়। কথিত আছে, এই তিথিতে শ্রীচৈতন্যদেব কুলিয়া গ্রাম মিবাসী বৈষ্ণব-নিন্দক পণ্ডিত দেবানন্দের অপরাধ মার্জন করেন । তদবধি কুলিয়া অপরাধভঞ্জনের পাট নামে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। উক্ত তিথিতে এখানে আসিয়া পূজা অৰ্চনা করিলে সৰ্ব্ব পাপ ও অপরাধ দূর হয় বলিয়া লোকের বিশ্বাস । ঘোষপাড়ার মন্দির কাচড়াপাড়া হইতে ৫ মাইল দূরে নদীয়া জেলায় কৰ্ত্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্র ঘোষপাড়া গ্রাম অবস্থিত। আউলচাদ নামক একজন সাধক এই সম্প্রদায়ের প্রবর্তক। কৰ্ত্তাভজাদের মধ্যে অনেকে বলেন যে শ্রীচৈতন্যদেব পরীধামে অন্তর্ধান করিবার পর বহুকাল পরে পুনরায় আউলচাদ রূপে আত্মপ্রকাশ করিয়া "গুরু সভ্যতা” এই মহামন্ত্র প্রচার করেন। জনশ্রুতি যে উলা (বীরনগর) নিবাসী মহাদেব নামক জনৈক বারুজীবী ১৬১৬ শকাব্দের (১৬৯৪ খৃষ্টাব্দ) ফাল্গুন মাসের প্রথম শুক্রবারে তাহার পানের বরজের মধ্যে একটি অজ্ঞাত কুলশীল সুদৰ্শন বালককে দেখিতে পান। মহাদেব তাহাকে গৃহে আনিয়া পুত্রবৎ প্রতিপালন করেন এবং তাহার নাম রাখেন পূর্ণচন্দ্র । মহাদেবের যত্নে পূর্ণচন্দ্র হরিহর নামক জনৈক বৈষ্ণবের নিকট সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা ও ধৰ্ম্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। প্রায় বিংশতি বর্ষ বয়ঃক্রমকালে তিনি শান্তিপুরের নিকটবৰ্ত্তী ফুলিয়ায় গিয়া বলরাম 6 .