পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক্ত সাহিত্য ধারায়- রামপ্রসাদ S (? Gd যত সব রূপ ও রসের বৈচিত্ৰ্য ফুটিয়াছে তাহ রামমোহনের যুক্তিতঃ ও গানতঃ মিথ্যা। এবং চণ্ডীদাস ও রামপ্রসাদ প্রভৃতিরা “অর্বাচীন”। না হইলে এরূপ সব মিথ্যা কল্পনা তঁহারা করিবেন কেন ? তার পর “নিরঞ্জনের নিরূপণ কিসে হবে বল মন সে অতীত ত্ৰৈগুণ্য ।” ইহা মনের সহিত যুক্তি বিচার। কিন্তু মনে যে রসের উপজয় হইলে রূপ সৃষ্টি হইয়া সুর দেখা দেয়, এখানে সে মন নাই। কেহ বলিয়াছেন যে, যুক্তিও একটা রস, হইবে বা। কিন্তু এই যুক্তি রসের কাব্য সৃষ্টি কল্পকলার ধারায় বস্তুতঃই এক অনাসৃষ্টি সন্দেহ নাই। রামমোহনের নিগুৰ্ণ ব্ৰহ্ম সাধনা যেরূপ বাঙ্গালার সাধনার বিরোধী এবং এরূপ হইবার একমাত্র কারণ যে, রামমোহন বাঙ্গালার প্রাণের সহিত পরিচয় লাভ করিবার অবকাশ করিতে পারেন নাই, তাই তাহার সাধনা বাঙ্গালার প্রাণের সাধনার বিপরীত। তাই তঁহার গান -যদিও গান হয় নাই-বাঙ্গালার প্রাণের গানের ধারার বিপরীত ! র্যাহারা “আর্ট ফর আর্টস সেক” বলিয়ারব তুলিয়াছেন(১) যাহারা আটকে কোন উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য নিয়োগ (১) ইহা চিত্তরঞ্জন কর্তৃক রাবিন্দ্ৰিক সম্প্রদায়ের উপর কিঞ্চিৎ কটাক্ষপাতী। এই সম্প্রদায় তখন বলিতেন,-উদ্দেশ্যমূলক যেই হওয়া আর অমনি কাব্যের আত্যন্তিক রসাভাস জনিত নিশ্চিত অপঘাত মৃত্যু। কাব্য বা সঙ্গীতের কোন উদ্দেশ্য থাকিবে না। থাকিলে চলিবে না।