পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক্ত সাহিত্য ধারায়- রামপ্ৰসাদ SG “বিশ্ব” আজ বাঙ্গালার প্রাণের ধারায়, গানের ধারায় বাধা হইয়া দাড়াইয়াছে। বাঙ্গালার গানে যদি বাঙ্গালীর প্রাণ থাকে,-তবে একথা আমি বিশ্বাস করি যে, বাঙ্গালীর প্রাণের ধারায় পাষাণ “বিশ্ব” টুকরা টুকরা হইয়া ভাঙ্গিয়া চুরমার হইবে,-বাঙ্গালীর গানে বিশ্ব ডুবিবে। পথের বাধা দূর না। করিয়া বাঙ্গালী অগ্রসর হইবে কিরূপে ? “বিশ্ব” সাজিবার “বিশ্ব” সাহিত্য রচিবার কথা মুখে আন কি করিয়া—আমি বুঝিতে পারি না । পৃথিবীর জাতি সকলের উত্থানে নিজের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিতে অক্ষম,-“বিশ্ব’ নাম মুখে আনিতে তোমাদের লজ্জা, হয় না! ফরাসী, জাৰ্ম্মান, রুষ, বেলজিয়াম, নরওয়ে, সুইডেন-এই সমস্ত জাতির গত ২৫/৩০ বৎসরের একটা রঙীন ফেনিল মাদকতাপূর্ণ সাহিত্যের যে খেলো ইংরাজী তৰ্জমায় রস-বৈচিত্র্যের ধাঁচা নকল করিয়া, ফেরঙ্গ খোসায় দেশী ও বিদেশী প্ৰাণের যে জগা” খিচুড়ী দেশ বিদেশে পরিবেষণা করিতে ধাবিত হইয়াছ-ইহা কি, কেন সৃষ্টি হইয়াছে ? ভাবিয়াছ-ইহার বুঝি কোনদিন কোন বিচার হইবে না ? এই অদ্ভুত বিসদৃশ সুর ও রূপের একত্র সমাবেশ, যাহাতে রসাঙ্গসমূহ অঙ্গাঙ্গীভাবে-একত্রীভূত ও একাত্ম হয় নাই-হইতে পারেও না,-যাহা,-না এ-না ও-দুইয়ের বার ; তাহাই লইয়া ফেরঙ্গের হাটে কোন অধম বিদূষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হইয়াছে ? যাদুকর ভালুকের গলায় দড়ি বঁাধিয়া তুড়ি দিয়া দিয়া তাহাকে নাচায়। এ যুগের বাঙ্গালা R