পাতা:বাংলার ছেলে - সতীকুমার নাগ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दोश्लग्न ८छ्ट्ण ঘুম ভাঙল। সকালেই তুলি নিয়ে বসলুম–কিন্তু দশটার মধ্যেই আমাকে কারখানায় হাজরে দিতে হবে । শেষ করতে পারলুম না সে ছবি। আজও ঈজেলে পড়ে রয়েছে সেট। সে অনুপ্রেরণা যেন নষ্ট হয়ে গেছে। দীপক। কাজ ছেড়ে দিলে খাবি কি ? ফাইন আর্ট নিয়ে যে থাকবি, তোর উদরামের সংস্থান করবে কে ? তাই ত’ বলি শিল্পী জাতটা বড় অভাগা ! মৃণাল। আর ভাগ্যদেবী যেন দুনিয়ায় জীবনবাবুর দলকেই দিচ্ছে বরমাল্য । ওদের লোভের পাপ আমাদের জীবনকে শুষে নীরস করে দিচ্ছে । জানিস দীপক, ইচ্ছে করে ওর একটা পোর্টেটু আঁকি—ওর মধ্যে যে ভয়ঙ্কর একটা সৰ্ব্বগ্রাসী ক্ষুধা প্রচ্ছন্ন রয়েছে তার একটা রূপ দিই। রেখায় রেখায় দৃঢ় নিপুণ টানে ওর পোর্টেটু যদি আমি আঁকতে পারি ত’ জগদ্বিখ্যাত হয়ে যাবো। ও হ'চ্ছে ধন-তন্ত্রের তুলাল— [ কাগজপত্র রাখিয়া ]—আমি বাসায় চললুম দীপক— দীপক। থাম একটু, একসঙ্গে যাবো-হাতের কাজটা সেরে নিই-তুইও হাতের কাজটা সেরে ফেল— [ উভয়ে কাজ করিতে লাগিল ] নেপথ্য হইতে জীবন চৌধুরীর সম্বন্ধনা-সভার বকৃত শোনা যাইতেছে । বক্তা বলিতেছেন— অাজকে আমরা কি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে সকলে জমায়েত হয়েছি তা আপনাদের সকলেরই জানা আছে। న) té