AP বাংলার পাখী। y(C যেমন চেহারা বিশ্ৰী তেমনি ইহাদের খাবারও বিশ্ৰী । মরা জন্তু-জানোয়ারের মাংস ভিন্ন অন্য কিছু যেন মুখে রুচে না। তাই গো-ভাগাড়ে তোমরা হাড়গিলার সন্ধান পাইবে । কিন্তু ইহারা বারো মাস আমাদের দেশে থাকে না,-বর্ষার আগে বাংলাদেশে আসে। যাহা হউক, হাড়গিলাদের মতো রাস্কুসে পাখী আর দেখা যায় না। একটা গোটা বাছুরের মাংস একটা হাড়গিলাতে অনায়াসে খাইয়া ফেলিতে পারে। অনেকে হাড়গিলাদের সারস জাতির পাখী বলিয়া মনে করেন। কিন্তু তাহা নয়। সারসরা গাছে বসে না এবং গাছে বাসাও তৈয়ারি করে না। কিন্তু হাড়গিলারা গাছের উপরে শুকনা ডালপালা লইয়া গিয়া প্ৰকাণ্ড বাসা তৈয়ারি করে, এবং ভাগাড়ে ভাগাড়ে ঘুরিয়া মরা জন্তুর মাংস খাইয়া পেট ভরিলে গাছের উপরে বসিয়াই রাত্রি কাটায়। হাড়গিলারা যখন উড়িয়া যায়, তখন তাদের উড়ার ভঙ্গী বড় মজার। সে-সময়ে তাহারা লম্বা গলা ও ঠোঁট সামনে যত দূর পারে আগাইয়া দেয়, এবং পা দুখানি পিছনে ছাড়াইয়া দেয়। এই রকম ভাবে ধীরে ধীরে ডানা দোলাইয়া উড়িয়া চলে। শকুনরা যেমন ডানা স্থির রাখিয়া উড়িয়া বেড়ায় হাড়গিলাদের প্রায়ই সেরকম উড়িতে দেখা যায় না।