পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পাখী। See তাহাঁদের জীবনটা কাটিয়া যায়। উড়িয়া উড়িয়া শরীর ক্লািস্ত হইলে প্ৰায় সকল পাখীই গাছের ডালে বা মাটিতে বসিয়া বিশ্রাম করে । পানকৌড়িদের বিশ্রাম করা তোমরা দেখিয়াছ কি ? জলে উড়ুব দিতে দিতে হাফ লাগিলে জলে পোর্তা খোটা বা বাঁশের উপরে বসিয়া দুইখানা ডানা খুলিয়া দেয় এবং তাহদের সেই লম্বা সরু গলাটা বঁকাইয়া চারিদিকে তাকুইতে থাকে। পানকৌড়িদের এই চেহারা দেখিলে হাসি পায়। ইহাই পানকৌড়িদের বিশ্রাম করা। যখন খাল বা বিলের জলে ডুব দিয়া মাছ শিকার করে, তখন পানকৌড়িদের দাঁড়কাকের মতো কালো বলিয়াই মনে হয়। কিন্তু সত্যই ইহারা সম্পূর্ণ কালে পাখী নয়। ইহাদের পিঠ ও ডানা ধূসর এবং লেজ ময়লা রকমের সাদা। আবার পা দুখানিও ধূসর। পানকৌড়িদের ঠোঁটুগুলি বড় মজার। তাহার আগা বঁকা, কিন্তু সমস্ত ঠোঁটু সরু এবং চাপা। রকমের। আমাদের দেশের জেলের উদবিড়াল পুষিয়া মাছ ধরে, চীন দেশের লোকে নাকি পোষা পানকৌড়ি দিয়া মাছ মারে। তাহারা পোষা পানকৌড়ি লইয়া নৌকা করিয়া নদীতে বা সমুদ্রে যায়। তার পরে মাছ দেখিলেই ঐ সব পোষা পাখী ছাড়িয়া দেয়-পাখীরা মাছ ধরিয়া নৌকায় আনে। মাছ বড় হইলে একটা পাখীতে শিকার করিতে পারে না। তখন দুই তিনটা পাখী একত্র মিলিয়া মাছ মারিয়া নৌকায় আনে।