yQ বাংলার পাখী। হাঁসের চেহারা দেখিলেই তোমরা জানিতে পারিবে। ইহাদের পা-গুলি ছোটাে এবং পায়ের আঙল পাতলা চামড়া দিয়া পরস্পর জোড়া। তাই ইহারা জলে সঁাতার দিতে পারে। হাঁসেরা কি-রকমে জলের তলায় মাথা গুজিয়া খাবারের সন্ধান করে, তাহা বােধ হয় তোমরা দেখিয়াছু। পানকৌড়িদের মতাে ইহারা সম্পূর্ণ ডুবি দেয় না। জলের তলায় খাবার। সন্ধানের সময়ে তাহদের শরীরের সম্মুখ ভাগ ও মাথা জলের তলায় বায় এবং পিছনটা থাকে জলের উপরে । এই রকমে খাবার সংগ্রহের সুবিধার জন্য হাঁসদের পা থাকে শরীরের পিছন দিকে। তাই ইহারা মাটিতে হঁটিয়া বেড়াইবার সময়ে অন্য পাখীদের মতে তাড়াতাড়ি চলিতে পারে না । যাহা হউক, হাসের যখন হেলিয়া-দুলিয়া চলিয়া বেড়ায় তখন তাহা দেখিতে মন্দ লাগে না । কিন্তু পাতিহাঁসদের সেই “প্যাক প্যাকু” শব্দ একটুও ভাল নয়। হাঁসদের ঠোঁটের আকৃতি তোমরা বোধ করি সুকলেই দেখিয়াছ। চড়াই বা চিলের ঠোঁটের সহিত হাঁসের ঠোঁটের একটুও মিল নাই। জলের তলায় পাক হইতে পোকামাকড় ও গাছ-গাছড়া তুলিয়া খাইবার জন্য ইহাদের ঠোঁট চেপােটা ও চওড়া । হাঁসদের জিভগুলিও খুব পুরু এবং তাহার দুই পাশে আবার দুইটা মাংসের পিণ্ড থাকে। জলের তলার পাক ও কাদা মুখে লইয়া ঐ মাংসপিণ্ড দিয়া যেই চাপ দেয়, অমনি কাদা ঠোঁটের ফাঁক দিয়া বাহির হইয়া যায়,-তখন