পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बर्वांद्र बड δ Σ., গঙ্গা গঙ্গা ইন্দ্ৰ চন্দ্র বরুণ বাসুকি তিনি কুল ভরে দাও ধনে জনে সুখী । হিন্দুধর্মের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লৌকিক ব্ৰতের চেহারা এমন অদলবদল হয়ে গিয়েছে যে, এখন যে ব্ৰতগুলি খাটি অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে তা অতি অল্প, এবং দু-চারটি ছাড়া সেগুলিও খণ্ড অসম্পূর্ণ অবস্থায় আমরা পাই। বাংলার ব্ৰতগুলি কতক-কতক সংগ্রহ হতে আরম্ভ হয়েছে, সবগুলি সম্পূর্ণ আকারে এখনও সংগ্রহ ও প্রকাশ হবার অনেক দেরি, এবং অন্তঃপুরের জীবনযাত্রার বদলের সঙ্গে সঙ্গে এই-সব ব্রত করবার এবং ব্ৰতগুলির অনুষ্ঠান ঠিকঠাক মনে রাখবার চেষ্টাও ক্রমে চলে গিয়েছে। এ অবস্থায় যা হচ্ছে তাতে খাঁটি নকল সম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ সবই আমরা গ্ৰহণ করতে চলেছি। ব্ৰতের আলপনার মধ্যে আমরা দেখতে পাই খাটি নকশার মধ্যে মেকিও চলেছে। তেমনি ছড়াগুলির মধ্যেও হয়তো যেখানকার যা সেগুলো উলটে কোথাও একছত্র নতুন, কোথাও এক ব্ৰতের ছড়া অন্য ব্ৰতে- এমনি সব কাণ্ড । এ ছাড়া নানা গ্রামের নানা অনুষ্ঠান, একই ব্ৰত এখানে এক-রকম ওখানে অন্য । এমনি সব নানা জঞ্জালের মধ্যে থেকে খাটি ব্ৰতের চেহারাটির একটা আদর্শ বার করে আনতে হলে শুধু এদেশের ব্ৰতগুলিকে নিয়ে নাড়াচাড়া করে ফল হবে না, পৃথিবীতে সমস্ত আদিম জাতির মধ্যে ব্ৰত-অনুষ্ঠান কীভাবে চলেছে তার ইতিহাসগুলিও দেখা চাই । ব্ৰত হচ্ছে মানুষের সাধারণ সম্পত্তি, কোনো ধর্মবিশেষের কিংবা বিশেষ দলের মধ্যে সেটা বদ্ধ নয়, এটা বেশ বোঝা যাচ্ছে । এটাও বেশ বলা যায় যে, ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের যে দশাবিপৰ্যয় ঘটত সেইগুলোকে ঠেকাবার ইচ্ছা এবং চেষ্টা থেকেই ব্ৰতিক্রিয়ার উৎপত্তি। বিচিত্র অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মানুষে বিচিত্ৰ কামনা সফল করতে চাচ্ছে, এই হল ব্ৰত, পুরাণের চেয়ে নিশ্চয়ই পুরোনো বেদের সমসাময়িক কিংবা তারও পূর্বেকার মানুষদের অনুষ্ঠান। ভারতবর্ষের বাইরে থেকে এসে ভারতবর্ষের মধ্যে আর্যেরা যাদের দেখা পেলেন, তাদের ডাকলেন তঁরা ‘অন্যত্ৰত” বলে । এটা ঠিক যে আর্যেরা