३० १चांद्र वड মাছি আস্তে আস্তে এসেছে দেখি-'ব্ৰাহ্মণকে যজ্ঞোপবীতসহ লর্ডড়ক দান করে” ব’লে ৷ তারপর গ্ৰাম্যদেবতার পুজোগুলি, যেমন মনসা, শীতলা, সত্যপির এগুলিকে শাস্ত্রীয় করে নিয়ে ব্ৰাহ্মণের কিছু সুবিধা করে নিলেন। মুসলমানের পিরকে লোকে যেমনি পুজো দিতে আরম্ভ [ করল ] অমনি তঁাকে সত্যনারায়ণ ব’লে প্রচার ক’রে ব্রতটির উপর হিন্দুধর্ম দখল বসালেন। কিন্তু বাংলায় সত্যনারায়ণের যে পাঁচালি তাতে পিরকে মুসলমানি পোশাকেই দেওয়া হয়েছে। কথা পৰ্যন্ত উদ্দু, যেমন- জয় জয় সত্যপির সনাতন দস্তগিরি ইত্যাদি। এই মুসলমান পিরের উপাসনা ও শিরনি ভট্টাচাৰ্যদেরও ঘরে চলে এসেছে ও চলছে, কিন্তু এরই মধ্যে বাংলায় আজকাল ভাটপাড়ার পণ্ডিতেরা এই ব্ৰতে মুসলমানি অংশটাকে একেবারে চেপে দেবার চেষ্টায় রয়েছেন। “ব্ৰিতিমালাবিধান”এর ভূমিকায় ভাটপাড়ার শ্ৰীবীরেশনাথ শৰ্মা লিখছেন, “সত্যনারায়ণের বাংলা পাঁচালি বহু পুরোহিতের অসন্মত বলিয়া ইচ্ছাসত্ত্বেও তাহা সন্নিবেশিত করিলাম না।” পিরের শিরনি বা ভোগটা হচ্ছে সুজি বাতাসা, হিন্দুয়ানিতে বাধে না এমন-সব জিনিস ; এবং পায়েসের দলে সেটা প্ৰায় চলে গেছে। এখন, বাংলা পাচলি, যেটা থেকে মেয়েরা পৰ্যন্ত সহজে বুঝতে পারে যে পির তিনি পিরাই-বিষ্ণুও নন। সত্যনারায়ণও নন, সেই পাঁচালিটাকে লোপ করে দিতে পারলেই সত্যনারায়ণের হিন্দুত্ব নিষ্কণ্টক R RRT DDBSDBB BDBD S DDD DDB BD BBB D DBDBBD DBS মসলা সমস্তই নুতন - যেভাবে পেটেণ্ট ওষুধের নবল হয়ে থাকে কতকটা সেইরূপে কুফুটীব্রতটি নামে অহিন্দু এবং বাস্তবিকই ছোটনাগপুরের পার্বত্যজাতির এ ব্ৰতটি ; কুঙ্কুটী হলেন তাদের দেবী। এবং যেমন নানা অহিন্দু দেবতাকে, তেমনি কুকুটী দেবীকেও এককালে লোকে পুজো দিতে আরম্ভ করেছিল। মৃত্যুবৎসা-দোষনিবারণ এবং তেজৰী বহু সন্তান-লাভ হচ্ছে কুফুটীব্রতের ফল। আমাদের শাস্ত্ৰ এটিকে যেমন করে গড়ে নিয়েছে তাতে ব্ৰতকথার সঙ্গে
