পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার ব্ৰত ዓã» সুস্পষ্ট এমন আর কোনো দেশেই নয়। এই শঙ্খলতার ঘোরাপেচ শঙ্খ থেকে কি জলের আবর্ত থেকে, সেটা ইউরোপের মণ্ডনগুলি দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় না এবং এ নিয়ে সেখানকার পণ্ডিতে-পণ্ডিতে অনেক তর্কবিতর্ক চলেছিল। কোনো পণ্ডিতে বলেন এই লতামণ্ডন প্ৰথম ইজিপ্তে, কেউ বলেন ক্রিটদেশেআবার কেউ বলেন ইউরোপখণ্ডে গ্রিসদেশেই এর প্রথম উৎপত্তি । কিন্তু কোথাও বাংলার মতো শঙ্খলতার নিখুঁত চেহারাটি আমরা পাই নে। ক্রিট, ইজিপ্ত এবং গ্রিস-সব থেকে দূরে এই বাংলাদেশ” এবং ওইসব প্ৰাচীন সভ্যতা থেকে কতদূরে এখনও রয়েছে বাংলার এককোণ যশোর। সেখানকার মেয়েদের হাতের এই শঙ্খলতাটি । এই লতামগুন যে খুবই প্ৰাচীন, আধুনিক কোনো-কিছু থেকে নকল নয়, তা নিশ্চয়ই বলা যায়। বাঙালির মেয়ের সব চেয়ে পুরনো এবং সব চেয়ে সুন্দর ও যত্বের অলংকার শাখা । শাখ বৃক্ষ্মীর চিহ্ন এবং কড়ি ছিল এককালে এদেশের পয়সা । কাজেই শাখ ধ্ৰুং। তা থেকে শঙ্খলতা আবিষ্কার এদেশে যে কেন খুবই প্রাচীন কালে নৈ না, বুঝি নে। তা ছাড়া বাঙালি জাতিও বড়ো কম দিনের নয়। প্তের রানিরা এবং গ্রিসের সুন্দরীরা ঢাকার মসলিন পরতেন যখন খলখন যে বাংলাদেশ ও বাঙালি বর্তমান ছিল, অন্তত সে-বিষয়ে কোনো বন্দেহ থাকতে পারে না ; এবং পূর্বকালের কোনো ঢাকাই শাড়ির পাড়ে সুকিয়ে এই শঙ্খলতা গ্রিসে ও ইজিপ্তে চালান যায় নি, তাই বা কে বলতে भव । BDDBBD DDS DDD BBS DDB BB gD D DD DDB উৎপত্তি লাভ করেছে- এটা মানুষের ইতিহাসের একটা ধারণ ঘটনা ; কাজেই এ-বিষয় নিয়ে তর্ক করা চলে না ।