পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা বড় কম নয়। যেমন অনর্থ ঘটিয়েছিলেন এক ইংরেজ সাহেব । ইনি ভালো বাংলা শিখেছেন বলে বডড বড়াই করে বেড়াতেন। তাই ‘গোপাল-উড়ের যাত্রা’র ইংরেজি পোশাক দিয়েছিলেন– “the journey of the flying cowherd’ চর্যাগানগুলি আকারে-প্রকারে অনেকটা পরবর্তীকালের পদাবলীরই মতো। বাঙালীরা সেই আষ্ঠিকাল থেকেই চুটুকি ছড়ার গান লিখতে সিদ্ধহস্ত। কি সংস্কৃতে, কি অপভ্রংশে, কি ভাষায়— সবেতেই এ-ব্যাপারে বাঙালীদের যেমন হাত খুলেছিল ভারতবর্ষের অন্যত্র আর-কারোর হাতে ঠিক তেমনটি খোলে নি। সুতরাং চর্যাগানকে পদাবলীরই অগ্রদূত বলতে কোনোই বাধা নেই । তখন মুখে মুখে যারা এই বাংলা বলতেন তারা নিশ্চয়ই লিরিকের মতো চর্যাগানের রস অনুভব করতেন । কারণ দেখা যাচ্ছে, সেকালে এই পদগুলিতে স্থর লাগিয়ে গান গাওয়া হত । পুথিতে প্রত্যেক পদের উপর তা কি স্বরে যে গেয়, তার রাগরাগিণীর নাম পর্যন্তও দেওয়া আছে। তবে সেসব রাগরাগিণীর অনেকগুলোই এখন অপ্রচলিত ব'লে শুধু নাম ধরে তাদের সবাইকে আর চেনবার উপায় নেই। চর্যাগানের নমুনা : তিন ন চ্ছুপই হরিণ পিবই ন পাণী । হরিণ। হরিণীর নিলঅ ন জানী । হরিণী বোলঅ সুণ হরিণ। তো । এ বন ছাড়ী হোহু ভাস্তে ॥ তরসস্তে হরিণার খুর ন দীসই । ভুমুকু ভণই মূঢ়হিঅহি ন পইসই। কখন যে ব্যাধের শর এসে গায়ে বেঁধে এই ভয়ে হরিণ ঘাল ছোয়