পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σίσ- বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা কিংবা : যদি হরিস্মরণে সরসং মনে যদি বিলাসকলাস্থ কুতুহলং মধুৱকোমলকান্তপদাবলীম্ শুধু তদ জয়দেবসরস্বতীম্। অথবা : শ্রিতকমলাকুচমণ্ডল ধৃতকুণ্ডল এ । & কলিতললিতবনমাল জয় জয় দেব হয়ে । অমুস্বর বিসর্গগুলো বাদ দিলে এ তো বাংলা ! আর, বাংলা লিরিকেরও তো এই স্বর এই রূপ । এই কারণেই বোধ হয় অনেক পণ্ডিত অনুমান করেন যে, জয়দেব-কবি গীতগোবিন্দ-কাব্য প্রথম বাংলাতেই রচনা করেছিলেন, তার পর ভদ্রসমাজে প্রচারের উদ্দেশে অমুম্বর বিসর্গ জুড়ে তাকে সংস্কৃত করে তোলেন। হবেও বা ! পণ্ডিতদের কথা অবশুই মান্য করতে হয়। গীতগোবিন্দকে আদশ বলে ধরলেও আর তার ভাবরসে মগ্ন থাকলেও এবং তার ছন্দকে অঁাকড়ে ধরে রইলেও বাংলা ভাষায় কিন্তু যেসব লিরিক স্বষ্টি হল, তাদের প্রাণবস্তু ছিল আরো ঢের বেশি গভীর। মানুষের খোলা মনের ঠিক মাঝখান থেকেই যেন সেগুলো ছন্দের ফুলকি হয়ে বেরিয়ে আসছে । অতি সহজ, অতি সুন্দর, অতি মিষ্টি । ংলাদেশে মুসলমান আধিপত্য বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে ক্রমে সংস্কৃত রচনার আদর কমে আসতে লাগল। সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদের রাজদরবারে আর তেমন খাতির রইল না । বাধ্য হয়েই লোকদের শেষে ভাষার আশ্রয় নিতে হল। আশ্চর্য এই যে, ভারতবর্ষের সমস্ত প্রদেশেই প্রায় এই একই সময়ে ভাষায় রচিত কাব্যসাহিত্য শুরু হয়।