পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. o বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা ইংরেজির তফাত কতখানি । আর, তার সঙ্গে এও জানেন যে, আজকালকার ইংরেজির সঙ্গে বাইবেল আর শেক্সপীয়রের ইংরেজির বৈষম্য কত কম। সেইরকম, বাংলা ভাষা এই সময়কার কবিদের হাতে পড়ে যে-চেহারা নিল, তার সঙ্গে আজকালকার ভাষার আকৃতি- ও প্রকৃতি-গত বৈষম্য ঠিক ততখানি কম । আর, ঠিক ততখানি বেশি প্রভেদ চর্যাগানের পদের সঙ্গে আজকালকার পদ্যের । o ভাব ও কথার বৈচিত্র্য ও প্রসার এখন অনেক বেড়ে গেলেও, পনেরো শো থেকে সতেরো শো শতাব্দীর বাংলা কবিতার রূপ তখনো যা ছিল আজ থেকে তিরিশ বছর আগে পর্যন্ত প্রায় সেই একই রকম ছিল । আমার কথাটা আর-একটু পরিষ্কার করে বোঝাবার জন্যে আমি সেকালের কতক প্রসিদ্ধ পদকর্তার পদ উদ্ধার করে উপস্থিত করছি। তবে সমভাব রক্ষা করার জন্যে স্থানে স্থানে পদগুলি সামান্য একটু কাট-ছাট করে নিয়েছি। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই দেখবেন যে, টকাটিপ্পনী ছাড়াও সেগুলো বেশ বুঝতে পারছেন, রসাস্বাদনে কোনো বাধা পাচ্ছেন না । বাঙালী পদকর্তাদের আদিগুরু চণ্ডীদাস । তিনি যে খাটি বাঙালী ছিলেন, সে-সম্বন্ধে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ নেই। তবে, আমরা যেপদকর্তা চণ্ডীদাসকে জানি, পণ্ডিতদের মতে তিনিই যে ঠিক এই চণ্ডীদাস, তা নাও হতে পারেন । বস্তুত পণ্ডিতেরা অনেকগুলি চণ্ডীদাসের খবর পেয়েছেন, একটি আধটি নয়। শুধু চণ্ডীদাস, দ্বিজ চণ্ডীদাস, দীন চণ্ডীদাস, বড় চণ্ডীদাস ইত্যাদি হরেক রকমের চণ্ডীদাস। স্বতরাং কোনটি যে কে, তা আমরা সঠিক বলি কি করে ? চণ্ডীদাসের দেশ সম্বন্ধেও অনেক তর্কবিতর্ক আছে। কেউ বলেন, তার বাস ছিল বীরভূম জেলার নান্নর গ্রামে ; আবার কেউ বলেন, বাকুড়া জেলার ছাতনা গ্রামে। বড়