পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“S) o বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা নিয়ে ধর্মপ্রচার করার দিকে বেশি ঝোক দিয়েছিলেন। র্যার কবিতা লিখে থাকেন বা যত্ব নিয়ে কবিতা পড়ে থাকেন তারা সকলেই জানেন, বিশেষ কোনো উদ্বেগু নিয়ে কবিতা লিখতে বসলে সেটা আর যাই হোক, কখনো কবিতা হয়ে ওঠে না । চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাদের পরবর্তী যেসব পদকর্তা কবিতা লিখে গেছেন, তাদের মধ্যে গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, বলরামদাস ও লোচনদাস প্রসিদ্ধ। এরা ইংরেজি পনেরো থেকে ষোলে! শতকের মানুষ । গোবিন্দদাস বাঙালী হয়েও ব্রজবুলির বিষম পক্ষপাতী। তাই তো বিহারীরা একে মৈথিল বলে সন্দেহ করেন । তখনকার দিনের অনেক বাঙালী কবি মনে করতেন বিশুদ্ধ বাংলায় বুঝি কবিতা ভালো খোলে না । কিছু ব্রজবুলির চাটু ছাড়লে, অর্থাৎ বাংলার সঙ্গে খানিক মৈথিল ও অপভ্রংশের খাদ মিশাল দিলে, কবিতা যেন জমে ভালো । যেমন, এখনো অনেকের ধারণা উজু কি হিন্দিতে লেখা গান বিশুদ্ধ রাগরাগিণীতে যেমন খোলতাই হয়, বাংলায় লেখা গানে ঠিক তেমনি ধারা জুতসই হয় না । গোবিন্দদাসের যে কবিতাটি তুলছি সেটা কাব্য হিসেবে খুব উচুদরের না হলেও, অনুপ্রাসের ছটায় এটি গীতগোবিন্দকেও হার মানিয়ে দেয় – সুন্দরি রাধে আও এ বণি ব্রজরমণীগণ মুকুটমণি ৷ কুঞ্চিতকেশিনী নিরুপমবেশিনী রসআবেশিনী ভঙ্গিনীরে । यथब्रश्ब्रत्रिनौ अत्रफूद्रत्रिनो मंत्रिनँो नदनरु ब्रक्रिनँोप्द्र !