পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা অপার মহারসের তরঙ্গ । এখানে সুখ-দুঃখ ক্ষোভ-বিক্ষোভ উত্থান-পতন সবই একাকার। তুমি মুখ পেলে হও সুখভোলা। ( ও মন ) দুখ পেলে হও দুখ-উতলা । লালন কয় সাধন খেলা । মহারস যার হৃদকমলে । এই মহারস কিংবা সমরস হৃদকমলে সত্যি উদয় হলে চিরকালের মতো তো বাধা পড়া গেল। আর মুক্তি নেই। কিন্তু সে-বন্ধন কষ্টবন্ধন নয়, মহাসুখের বন্ধন। সেখানে সামান্ত মুক্তিমোক্ষের ঠাই কোথায় ? হৃদয়কমল চলতেছে ফুটে কত যুগ ধরি। তাতে তুমিও বাধা আমিও বাধা উপায় কি করি । ফুটে ফুটে ফুটে কমল ফোটার নাইকো শেষ । এই কমলের যে-এক মধু রস যে তার বিশেষ । ছেড়ে যেতে লোভী ভ্রমর পারে। না যে তাই । তাই তুমিও বাধা আমিও বাধা মুক্তি কোথাও নাই । বাউলগানের পদের মধ্যে লিরিক রসের আস্বাদ পাওয়া গেলেও বাউলগান অনেক জায়গায় কবিতা হতে হতে যেন একটু রয়ে গেছে। সমগ্র বাংলা সমাজের উপর এই গান তেমন কোনো ছাপ দিতে পারে নি, যেমন দিতে পেরেছে পদাবলী গান । তার কারণ আছে। পদাবলী গানের ভিত্তি আসলে নিরেট লিরিক, কোনো সাধনতন্ত্রের উপর তা তো প্রতিষ্ঠিত নয়। এর ভাষাও তাই সাধনমার্গের রূপক ভাষা থেকে মুক্ত । স্বতরাং লোকের মনে এর প্রভাব একটু বিস্তৃত হবে বৈকি । প্রাচীন পদাবলী - গানগুলোকে আমরা সাধারণত বৈষ্ণব-কবিতা