পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা কিন্তু : জই নগগা বিজ হোই মুক্তি তা মুণহ সিআলহ । লোমউপাড়তে অথি সিদ্ধি তা জুবই নিৰ্ণ স্বহ । পিচ্ছৗগহণে দিঠ,ঠ মোক্ষ তা মোরহ চমরহ । উঞ্ছে ভোঅৰ্ণে হোই জীণ তা করিহ তুরঙ্গহ । উলঙ্গ থাকলেই যদি মুক্তি হত, তা হলে শিয়াল-কুকুরও তো মুক্তপুরুষ । লোম ওপড়ালেই যদি সিদ্ধিলাভ ঘটত, তা হলে তো বলতে হয়, যুবতীর নিতম্বও সিদ্ধিলাভ করেছে। পুচ্ছধারণে যদি মোক্ষ হয় তা হলে তো মউরের চামরও মোক্ষপ্রাপ্ত । আর উচ্ছিষ্ট-ভোজনে যদি জ্ঞানের উদয় হয়, তা হলে হাতি-ঘোড়াও জ্ঞানীপুরুষ । ব্রাহ্মণ্য ক্রিয়াকর্মের নিন্দা কিন্তু এই প্রথম নয় । এইসব আচার্যের জন্মাবার দু হাজার বছর পূর্বে চার্বক যে-নিন্দ করে গেছেন, সে আর কহতব্য নয়। সিদ্ধাচার্যেরা তবু তো খানিক রয়ে-বসে-সয়ে আকারেইঙ্গিতে সংকেতে-কৌশলে নিন্দ করেছেন, কিন্তু চাৰ্বাকের নিন্দ একেবারে খোলাখুলি । খুবই স্পষ্ট রকমের। সে এতই স্পষ্ট যে, তখনকার ব্রাহ্মণ্যধর্মের পাণ্ডার সে-নিন্দা সহ্য করতে না পেরে চার্বাককে জাতে তুলে নিয়ে তাকে একেবারে মুনিঋষির পর্যায়ে বসিয়ে দিয়েছিলেন। চার্বাক বলছেন, ভণ্ড ধূর্ত ও নিশাচর এই তিনে মিলে বেদ স্বষ্টি করেছে। তাদের ধূর্তোমির আর অস্ত নেই। তারা বলে, যজ্ঞে পশুবলি দিলে নাকি সে-পশুর স্বৰ্গপ্রাপ্তি হয় । তা হলে নিজের বাপকে ধরে যজ্ঞে কোতল করে দিলে তো অতি সহজেই তাকে স্বর্গে পাঠানো যায়। আর, মৃতব্যক্তির শ্ৰাদ্ধশাস্তি করলেই যদি তার তৃপ্তি হয়, তাহলে নিবে-যাওয়া প্রদীপে খানিক তেল ঢাললে সে-দীপ আবার জলে ওঠে