পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ বাংলা শব্যতত্ত্ব ভাষায় আছে বলিয়া আমরা জানি না । যে-সকল শব্দ ধ্বনিব্যঞ্জক, কোনো অর্থস্বচক ধাতু হইতে যাহাজের উৎপত্তি নহে, তাহাদিগকে ধ্বস্তাত্মক নাম দেওয়া গেছে ; যেমন, ধ। সঁ। চটু খটু ইত্যাদি । এইরূপ ধ্বনির অনুকরণমূলক শৰ অন্য ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়, কিন্তু বাংলার বিশেষত্ব এই যে, এগুলি সকল সময় বাস্তবধ্বনির অনুকরণ নহে, অনেক সময়ে ধ্বনির কল্পনামাত্র । মাথা দব দব, করিতেছে, টনটন করিতেছে, কনকন করিতেছে প্রভৃতি শব্দে বেদনাবোধকে কাল্পনিক ধ্বনির ভাষায় তর্জমা করিয়া প্রকাশ করা হইতেছে। মাঠ ধৃ ধূ করিতেছে, রৌদ্র বা বা করিতেছে, শূন্ত ঘর গম্গম করিতেছে, ভয়ে গা ছমছম করিতেছে, এগুলিকে অস্ত ভাষায় বলিতে গেলে বিস্তারিত করিয়া বলিতে হয় এবং বিস্তারিত করিয়া বলিলেও ইহার অনির্বচনীয়তাটুকু হৃদয়ের মধ্যে তেমন অনুভবগম্য হয় না ; এরূপ স্থলে এই প্রকার অব্যক্ত অক্ষুট ভাষাই ভাবব্যক্ত করিবার পক্ষে বেশি উপযোগী । একটা জিনিসকে লাল বলিলে তাহার বস্তুগুণসম্বন্ধে কেবলমাত্র একটা খবর দেওয়া হয়, কিন্তু, লাল টুক্‌টুক্‌ করিতেছে বলিলে সেই লাল রঙ আমাদের অনুভূতির মধ্যে কেমন করিয়া উঠিয়াছে, তাহাই একটা অর্থহীন কাল্পনিক ধ্বনির সাহাধ্যে বুঝাইবার চেষ্টা করা যায়। ইহা ইঙ্গিত, ইহা বোবার ভাষা । বাংলা ভাষায় এইরূপ অনির্বচনীয়তাকে ব্যক্ত করিবার চেষ্টায় এই প্রকারের অব্যক্ত ধ্বনিমূলকশন্স প্রচুররূপে ব্যবহার করা হয়। ভালো করিয়া ছবি আঁকিতে গেলে শুধু গোটাকতক মোট রঙ লইয়া বসিলে চলে না, নানা রকমের মিশ্র রঙ, স্বল্প রঙের দরকার হয় । বর্ণনার ভাষাতেও সেইরূপ বৈচিত্র্যের প্রয়োজন। শরীরের গতি সম্বন্ধে ইংরেজি *this we of wick stful cofon, walk run hobble waggle wade creep crawl ovssif; oftwd forfe stata cow overif's s মন্দগতি দ্বারা এই-সমস্ত অবস্থা ব্যক্ত করা যায় না । কিন্তু কথিত ভাষা লিখিত ভাষার মতো বাৰু নহে, তাহাকে যেমন করিয়া হউক প্রতিদিনের নানান কাজ চালাইতে হয় ; যতক্ষণ বোপদেব পাণিনি অমরকোষ ও शक्षकब्रजम्म चांनिब्रां ङांशं८क *ांल क्ब्रिांर्देब्रा मा टक्ब उठकर्ण कांज् इहेब्रा