‘এ অপমান স’বে না’ কিংবা ‘দুঃখের দিন রবে না’ বললে কেউ বিদেশী বলে সন্দেহ করে না।
যদি বলি ‘গঙ্গায় না’বে, না তোলা জলে’ তা হলে ভাষার দোষ ধরে শ্রোতা আপত্তি করবে না।
কেবল বহা ও বাহা ক্রিয়াপদে ‘ব’বে’ ‘বা’বে’ ব্যবহার শোনা যায় না তার কারণ পাশাপাশি দুটো ‘ব’-কে ওষ্ঠ পরিত্যাগ করতে চায়।
হ ধ্বনি বর্জিত এই জাতীয় ক্রিয়াপদে প্রাকৃত প্রয়োগে নিঃসংশয়ে ই স্বর লুপ্ত হয়। কথ্য ভাষায় কখনোই বলি নে খাইব, যাইব, পাইব।
‘দোহা’ ক্রিয়াপদের আরম্ভে ওকার আছে, তারই জোরে ই থেকে যায়—বলি ‘গোরু দুইবে’। কিন্তু একেবারেই ই লোপ হ’তে পারে না বলে’ আশঙ্কা করি নে। ‘রুগ্ণ গোরু কখনোই দোবে না’ বাক্যটা অকথ্য নয়।
‘পোহা’ অর্থাৎ প্রভাত হওয়া ক্রিয়াপদের ধাতুরূপ ‘পোহা’— পোহাইবে বা পোহাইল শব্দে লিখিত ভাষায় ই চলে কিন্তু কথিত ভাষায় চলে না। সন্দেহ হচ্ছে ‘কখন রাত পুইবে’ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ‘পোয়াবে’ এবং ‘পুইবে’ দুইই হয়।
শ্রাবণ ১৩৪৩