পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૭ শবদ তত্ত্ব যথা:–সহজ—সেজি, মহৎ—মোটা, রুগ্ন—রোগা, ভগ্ন— ভাঙা, শ্বেত—শাদা, অভিষিক্ত—ভিজা, খঞ্জ—খোড়া, কাণ— কাণ, লম্ব—লম্বা, সুগন্ধ—সোধা, বক্র—বাকা, তিক্ত—তিতা, মিষ্ট—মিঠা, নগ্ন—নাগা, তিৰ্য্যকৃ—টেড়া, কঠিন—কড়া । দ্রষ্টব্য এই যে, “কর্ণ” হইতে বিশেষ্য শবদ “কান” হইয়াছে, অথচ “কান” শব্দ হইতে বিশেষণ শব্দ “কানা" হইল। বিশেষ্যশব্দ হইল “ফাক,” বিশেষণ হইল “ফাকা” ; “বাক” শব্দ বিশেষ্য, “বশকা” শব্দ বিশেষণ । ংস্কৃত ভাষায় “ক্ত” প্রত্যয় যোগে যে সকল বিশেষণ পদ" নিষ্পন্ন হয়, বাংলায় তাহ প্রায়ই অকারান্ত বিশেষণ পদে পরিণত হয় ; “ছিন্নবস্ত্র” বাংলায় “ছেড়া বস্ত্র,” “ধূলি লিপ্ত” শব্দ বাংলায়, “ধূলো লেপা,” “কৰ্ণ কর্জিত”=“কান কাটা"। ইত্যাদি । বিশেষ্য শব্দ চন্দ্র হইতে চাদ, বন্ধ হইতে বাধ, কিন্তু বিশেষণ শব্দ মন্দ হইতে হইল “মাদা” । “এক” শব্দকে বিশেষরূপে বিশেষণে পরিণত করিলে “একা” হয় । এইরূপ বাংলা দুই অক্ষরের বিশেষণ অধিকাংশই আকারাস্ত । যেগুলি অকারাস্ত, হিন্দীতে সেগুলিও আকারাস্ত। যথা, ছোট, বড়া, ভাল । ইহার একটা কারণ আমরা এখানে আলোচনা করিতেছি । স্বর্গগত উমেশচন্দ্র বটব্যালের রচনা হইতে দীনেশ বাবু র্তাহার “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” গ্রন্থে নিম্নলিখিত ছত্রকয়টি উদ্ধত করিয়াছেন :–