পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীমসের বাংলা ব্যাকরণ bア> নির্দেশ করিয়াছেন । “এ* স্বরের উচ্চারণ-বৈচিত্র্য সম্বন্ধে আমরা “সাধনা” পত্রিকায় আলোচনা করিয়াছি। বীম্স্ সাহেব লিখিয়াছেন যাওয়া সম্বন্ধীয় ক্রিয়াপদ “গেল” শব্দের উচ্চারণ গ্যাল হইয়াছে, গিলিবার সম্বন্ধীয় ক্রিয়াপদ “গেল” শব্দের উচ্চারণে বিশুদ্ধ একার রক্ষিত হইয়াছে। তিনি বলেন অভ্যাস ব্যতীত ইহার নির্ণয়ের অন্ত উপায় নাই। কিন্তু এই ক্রিয়াপদগুলি সম্বন্ধে একটি সহজ নিয়ম उपcिछ् । যে সকল ক্রিয়াপদের আরম্ভ শব্দে ইকার আছে, যথা গিল, মিল, ইত্যাদি তাহারা ইকারের পরিবর্তে একার গ্রহণ করিলে একারের উচ্চারণ বিশুদ্ধ থাকে, যথা গিলন হইতে গেলা, মিলন হইতে মেলা ( মেলন শব্দ হইতে যে ‘মেলার উৎপত্তি তাহার উচ্চারণ ম্যাল ), লিখন হইতে লেখা, শিক্ষণ হইতে শেখা ইত্যাদি । অন্য সৰ্ব্বত্রই একারের উচ্চারণ অ্যা হইয়া যায়। যথা—খেলন খেলা, ঠেলন ঠেলা, দেখন দেখা ইত্যাদি । অর্থাৎ গোড়ায় যেখানে ই থাকে সেটা হয় এ, গোড়ায় যেখানে এ থাকে সেটা হয় অ্যা । গোড়ায় কোথায় এ আছে এবং কোথায় ই আছে তাহা “ইতে” প্রত্যয়ের দ্বারা ধরা পড়ে। যথা, গিলিতে, মিলিতে, লিখিতে, শিখিতে, মিটিতে, পিটিতে ; অন্যত্র থেলিতে, ঠেলিতে, দেখিতে, ঠেকিতে, বেঁকিতে, মেলিতে, হেলিতে ইত্যাদি । বীমস্ লিখিয়াছেন, ও এবং য় পরে পরে আসিলে তাহার উচ্চারণ প্রায় ইংরাজি wর মতো হয়। যথা ওয়াশিল, তলওয়ার, ওয়ার্ড, রেলওয়ে ইত্যাদি । একটা জায়গায় ইহার ব্যতিক্রম আছে, Wり