পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ শব্দতত্ত্ব তাহা লক্ষ্য না করিয়া সাহেব একটি অদ্ভূত বানান করিয়াছেন, তিনি ইংরাজি willশবকে উয়িল অথবা উইল না লিখিয়া"ওয়িল” লিখিয়াছেন । ওয় সৰ্ব্বত্রই ইংরাজি wর পরিবর্ভে ব্যবহৃত হইতে পাবে কেবল এই ও ইকারের পূর্বে উ না হইয়া যায় না। বয়ের সহিত যফলা যোগে দুই তিন রকম উচ্চারণ হয় তাহা বীমস্ সাহেব ধরিয়াছেন কিন্তু দৃষ্টাস্তে অদ্ভূত ভুল করিয়াছেন । তিনি লিখিয়াছেন “ব্যবহারে”র উচ্চারণ বেভার, “ব্যক্তি”র উচ্চারণ বিক্তি, এবং “ব্যতীত” শব্দের . উচ্চারণ বিতীত । তাহা ছাড়া, কেবল বয়ের সঙ্গে যফলা যোগেই যে উচ্চারণবৈচিত্র্য ঘটে তাহা নহে সকল বর্ণ সম্বন্ধেই এইরূপ । “ব্যবহার” শব্দের “ব্য” এবং “ত্যক্ত” শব্দের “ত্য” উভয়েই যফলার স্থলে যফলা আকার উচ্চারণ হয়। ইকারের পূৰ্ব্বে যফলার উচ্চারণ "এ" হইয়া যায়, ব্যক্তি এবং ব্যতীত তাহার দৃষ্টান্ত । নব্য ভব্য প্রভৃতি মধ্য বা শেষাক্ষরবর্তী যফলা আশ্রয়বর্ণকে দ্বিগুণিত করে মাত্র । ইকারের পূৰ্ব্বে যফলা যেমন একার হইয়া যায় তেমনি "ক্ষ"ও একার গ্রহণ করে, যেমন “ক্ষতি” শব্দকে কথিত ভাষায় “খেতি” উচ্চারণ করে । ইহার প্রধান কারণ, “ক্ষ” অক্ষরের উচ্চারণে আমরা সাধারণত যফলা যোগ করিয়া লই । এইজন্য “ক্ষমা” শব্দের ইতর উচ্চারণ “খ্যামা” । আমরা বীম সাহেবের ব্যাকরণবৃত উচ্চারণ-পৰ্য্যায় অনুসরণ করিয়া প্রসঙ্গক্রমে দুইচারিটা কথা সংক্ষেপে বলিলাম। এ কথা