পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দতত্ত্ব وناميا স্ত্রপতি শ্ৰীনিধি পণ্ডিতাদি বাসাঘরে । করিলেন নিযুক্ত শ্ৰীবাস আচার্যেরে । আকাই হাটের কৃষ্ণদাসাদি বাসায় । হইলা নিযুক্ত শ্ৰীবল্লভীকান্ত তায় ।” এইরূপে “রামাদি” “জীবাদি” হইতে ষষ্ঠ “র” সংযোগে রামদের জীবদের হইয়াছে স্পষ্টই দেখা যায়। “আদি” শব্দের উত্তরে স্বার্থে ‘ক’ যুক্ত হইয়া বৃক্ষাদিক ‘জীবাদিক’ শব্দের স্বষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। ফলতঃ উদাহরণেও তাহাই পাওয়া যায়। যথা নরোত্তম বিলাসে— রামচন্দ্রাদিক যৈছে গেলা বৃন্দাবনে । কবিরাজ খ্যাতি তার হইল যেমনে ॥ এই ‘ক’ এর ‘গ’ এ পরিণতিও সহজেই প্রতিপন্ন হইতে পারে। স্বতরাং বৃক্ষাদিগ’ ( বৃক্ষদিগ ) ‘জীবাদিগ, ( জীবদিগ ) শব্দ পাওয়া যাইতেছে । এখন ষষ্ঠীর ‘র’ সংযোগে দিগের’ এবং কৰ্ম্মের ও সম্প্রদানের চিহ্নে পরিণত কে’র সংযোগে ‘দিগকে পদ উৎপন্ন হইয়াছে নিঃসংশয়ে বলা যাইতে পারে।” সম্পূর্ণ নিঃসংশয়ের কথা নহে। কারণ দীনেশ বাবু কেবল অকারাস্ত পদের দৃষ্টান্ত দিয়াছেন। ইকার উক্রান্ত পদের সহিত আদি শব্দের যোগ তিনি প্রাচীন বাংলা গ্রন্থ হইতে সংগ্ৰহ করিতে পারেন কিনা সন্দেহ । এবং “রামাদিগ” হইতে “রামদিগ” হওয়া যত সহজ “কপ্যাদিগ” হইতে “কপিদিগ” এবং “ধেম্বাদিগ” হইতে "ধেমুদিগ” হওয়া তত সহজ নহে ।