পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা বহুবচন b尸为v

  • দ” আকার ধারণ করিয়াছে এবং “কৃত” শব্দের অপভ্রংশ কের তাহার সহিত বাহুল্য প্রয়োগরূপে যুক্ত হইয়াছে।

তুলসীদাসে আছে "জীবহুকের কলেসা” এই “জীবকুকের” শব্দের রূপান্তর "জীবদিগের” হওয়া কিছুই অসম্ভব নহে। ন হইতে দ হওয়ার একটি দৃষ্টান্ত সকলেই অবগত আছেন —বানর হইতে বান্দর ও বাদর । কৰ্ম্মকারকে “জীবহুকে হইতে “জীবদিগে”শব্দের উদ্ভব হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের নূতন স্বই বাংলায় আমরা কৰ্ম্মকারকে “দিগকে” লিখিয় থাকি কিন্তু কথিত ভাষায় মনোযোগ দিলে, কৰ্ম্মকারকে দিগে শব্দের প্রয়োগ অনেক স্থলেই শুনা যায়। বোধ হয় সকলেই লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন সাধারণ লোকদের মধ্যে “আমাগের” “তোমাগের” শব্দ প্রচলিত আছে । এরূপ প্রয়োগ বাংলার কোনো বিশেষ প্রদেশে বদ্ধ কি না বলিতে পারি না, কিন্তু নিম্নশ্রেণীর লোকদের মুখে বারম্বার শুনা গিয়াছে ইহা নিশ্চয় । “আমাগের” “তোমাগের” শব্দের মধ্যস্থলে দ আসিবার প্রয়োজন হয় নাই—কারণ ম সামুনাসিক বর্ণ হওয়াতে পাশ্ববর্তী সাচুনাসিককে সহজে আত্মসাৎ করিয়া লইয়াছে। “যাগের” “তাগের” শব্দ ব্যবহার করিতে শুনা যায় নাই । এই মতের বিরুদ্ধে সন্দেহের একটি কারণ বর্তমান আছে। আমরা সাধারণতঃ নিজদের লোকদের গাছদের না বলিয়া নিজেদের লোকেদের গাছেদের বলিয়া থাকি । জীবহুকের = জীবন্ধুের =