পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা ব্যাকরণে তিৰ্য্যকৃরূপ >ミ> যেমন বাপ, ভায় ( ভাইয়া ), চাদ, লেজা, ছাগল, পাগলা, গোরা, কালা, আমা, তোমা, কাগাবগা ( কাকবক ), বাদলা, বামনা, কোণা ইত্যাদি । সম্ভবত প্রাচীন বাংলায় এই তিৰ্য্যকৃরূপের প্রচলন অধিক ছিল । তাহা নিয়ে উদ্ধত প্রাচীন বাক্য হইতে বুঝা যাইবে । “নর গজা বিশে শয় ।” “গণ” শব্দের তিৰ্য্যকৃরূপ “গণা” কেবলমাত্র “গণাগুষ্ঠি* শব্দেই টিকিয় আছে। "মুড়।” শব্দের সহজরূপ “মুড়” “মাথামোড় খোড়া” “ঘাড় মুড় ভাঙ|” ইত্যাদি শব্দেই বৰ্ত্তমান । যেখানে আমরা বলি "গড়াগড়া ঘুমচে” সেখানে এই “গড়া শব্দকে “গড়” শব্দের তিৰ্য্যকৃরূপ বলিয়া গণ্য করিতে হইবে । “গড় হইয়৷ প্রণাম কর।” ও “গড়ানো” ক্রিয়াপদে “গড়” শব্দের পরিচয় পাই । “দেব” শব্দের তিৰ্য্যকৃরূপ "দেবা” ও “দেয়া” । মেঘ ডাক ও ভূতে পাওয়া সম্বন্ধে “দেয়া” শব্দের ব্যবহার আছে। “যেমন দেবা তেমনি দেবী” বাক্যে “দেবা” শব্দের পরিচয় পাওয়া যায়। বাংলায় কাব্যভাষায় “সব” শব্দের তিৰ্য্যকৃরূপ “সবা” এখনো ব্যবহৃত হয়। যেমন আমাসবা, তোমাসবা, সবারে, সবাই । কাব্যভাষায় “জন” শব্দের তিৰ্য্যকৃরূপ “জনা” । সংখ্যাবাচক বিশেষণের সঙ্গে “জন” শব্দের যোগ হইলে চলিত ভাষায় তাহা অনেক স্থলেই “छन।” झ्म्न । ७कछन, झुझेछन। ३ज्रान् ि। “छनाछन।” श्रृंरक्षङ्ग অর্থ প্রত্যেক জন । আমরা বলিয়া থাকি “একো জনা একে! রকম ।”