পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8S শব্দতত্ত্ব অচেভন সকল পদার্থ সম্বন্ধেই “সব” শব্দ ব্যবহৃত হইতে পারে । ங் “অনেক” বিশেষণ শব্দ যখন বিশেষ্যপদের পূৰ্ব্বে বসে তখন স্বভাবতই তারা বিশেষ্যের বহুত্ব বুঝায়। কিন্তু এই “অনেক” বিশেষণের সংস্রবে বিশেষ্যপদ পুনশ্চ বহুবচনরুপ গ্রহণ করে না । ইংরেজিতে many বিশেষণ সত্ত্বেও man শব্দ বহুবচনরাপ ॐधश्१. করিয়া men হয়-সংস্কৃতে অনেক লোকাঃ, কিন্তু বাংলায় অনেক লোকগুলি হয় না । ■ অথচ “সকল” বিশেষণের যোগে বিশেষ্যপদ বিকল্পে বহুবচনরূপও গ্রহণ করে। আমরা বলিয়া থাকি, সকল সভ্যেরাই এসেছেন—সকল সভ্যই এসেছেন এরূপও বলা যায়। কিন্তু অনেক সভ্যেরা এসেছেন কোনো মতেই বলা চলে না । “সব* শব্দও “সকল” শব্দের ন্যায় । “সব পালোয়ানরাই সমান” এবং “সব পালোয়ানই সমান” দুই চলে। “বিস্তর” শব্দ “অনেক” শব্দের দ্যায়। অর্থাৎ এই বিশেষণ পূৰ্ব্বে থাকিলে বিশেষ্যপদ আর বহুবচন রূপ গ্রহণ করে না— “বিস্তর লোকেরা” বলা চলে না | এইরূপ আর একটি শব্দ আছে তাহা লিখিত বাংলায় প্রায়ই ব্যবহৃত হয় না—কিন্তু কথিত বাংলায় তাহারই ব্যবহার অধিক, সেটি “ঢের” । ইহার নিয়ম “বিস্তর” ও “অনেক” শব্দের ন্যায়ই । “গুচ্ছার” শব্দও প্রাকৃত বাংলায় প্রচলিত। ইহা প্রায়ই বিরক্তিপ্রকাশক । যখন বলি গুচ্ছার লোক জমেছে তখন বুঝিতে