পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

∶ ግ8 শবদ তত্ত্ব করা ওর কোন নিয়তির নির্দেশে । স্তম্ভপরে পালঙ্কপরে প্রভৃতি শব্দ কানে শোনবার সময় কোনো বাঙালির ছেলে ইলেকের অভাবে বিপন্ন হয় না, পড়বার সময়েও স্তম্ভ পালঙ্ক প্রভৃতি শব্দকে দিন মুহূৰ্ত্ত প্রভৃতি কালার্থক শব্দ বলে কোনো প্রকৃতিস্থ লোকের ভুল করবার আশঙ্কা নেই। “চলবার” “বলবার” “মরবার” “ধরবার” শব্দগুলি বিকল্পে দ্বিতীয় কোনো অর্থ নিয়ে কারবার করে না তবু তাদের সাধুত্ব রক্ষার জন্যে ল্যাজগুটোনো ফোটার ছাপ কেন । তোমার প্রফে দেখলুম “হয়ে” শব্দটা বিনা চিহ্নে সমাজে চলে গেল অথচ "ল’য়ে” কথাটাকে ইলেক দিয়ে লজ্জিত করেছ। পাছে সঙ্গীতের লয় শব্দটার অধিকারভেদ নিয়ে মামলা বাধে এই জন্যে । কিন্তু সে রকম সুদূর সম্ভাবনা আছে কি । লাখে যদি একটা সম্ভাবনা থাকে তারি জন্যে কি হাজার হাজার নিরপরাধকে দাগ দেবে। কোন জায়গায় এ রকম বিপদ ঘটতে পারে তার নমুনা আমাকে পাঠিয়ে দিয়ে। যেখানে যুক্ত ক্রিয়াপদে অসমাপিকা থাকে সেখানে তার অসমাপ্তি সম্বন্ধে কোনো দ্বিধা থাকৃতে পারে না । যেমন, বলে ফেল, করে দাও ইত্যাদি । অবশ্য করে দাও মানে হাতে দাও হতেও পারে কিন্তু সমগ্র বাক্যের যোগে সে রকম অর্থবিকল্প হয় না—যেমন কাজ করে দাও । “বলে ফেল” কথাটাকে খণ্ডিত করে দেখলে আর একটা মানে কল্পনা করা যায়, কেউ একজন বলে, “ফেলো” । কিন্তু আমরা তো সব প্রথমভাগ বর্ণপরিচয়ের টুকরো কথার ব্যবসায়ী নই। “তুমি বলে যাও” কথাটা স্বতই স্পষ্ট, কেবল