পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

، ارملا কায়দা এখনে দাড়াইয়া যায় নাই। অতএব এ ক্ষেত্রে উচ্ছম্বল স্বেচ্ছাচারের আশঙ্ক যথেষ্ট আছে। বস্তুত বর্তমানে এই চলতি । ভাষার লেখা, পুথির ভাষার লেখার চেয়ে অনেক শক্ত। বিধাতার স্বাক্টতে বৈচিত্র্য থাকিবেই, এই জন্য ভদ্রতা সকলের পক্ষে স্বাভাবিক নয়। তাই অন্তত প্রথাগত ভদ্রতার বিধি যদি পাকা না হয় তবে সমাজ অত্যস্ত কুত্ৰ হইয় ওঠে । “সবুজপত্ৰ”সম্পাদকের শাসনে আজকের দিনে বাংলা দেশের সকল লেখকই যদি চলতি ভাষায় সাহিত্য রচনা মুরু করিয়া দেয় তবে সৰ্ব্বপ্রথমে তাকেই কানে হাত দিয়া দেশ ছাড় হইতে হইবে এ কথা আমি লিখিয়া দিতে পারি। অতএব মুখের বিষয় এই যে, এখনি এই দুৰ্য্যোগের সম্ভাবনা নাই। নূতনকে যারা বহন করিয়া আনে তার। যেমন বিধাতার সৈনিক, নূতনের বিরুদ্ধে যার অস্ত্র ধরিয়া খাড়া হইয় উঠে তারাও তেমনি বিধাতারই সৈন্য । কেননা প্রথমেই বিধানের সঙ্গে লড়াই করিয়া নূতনকে আপন রাজ্য গ্রহণ করিতে হয় কিন্তু যতদিনে তার আপন বিধান পাকা না হইয়া উঠে ততদিনের অরাজকতা সামলাইবে কে ? একথা স্বীকার করিতেই হইবে সাহিত্যে আমরা যে ভাষা ব্যবহার করি ক্রমে ক্রমে তার একটা বিশিষ্টতা দাড়াইয়া যায়। তার প্রধান কারণ সাহিত্যে আমাদিগকে সম্পূর্ণ করিয়া চিন্তা করিতে এবং তাহ সম্পূর্ণ করিয়া ব্যক্ত করিতে হয়, আমাদিগকে গভীর করিয়া অকুভব করিতে এবং তাহ সরস করিয়া প্রকাশ করিতে হয়। অর্থাৎ সাহিত্যের ক্ষেত্র প্রধানত নিত্যতার