পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দতত্ত্ব سOb\ হইয়া এক হইয়া গেছে ; সংস্কৃত ভাষায়, তাহার দৃষ্টান্ত, মৰ্ম্মর, গর্গর (ঘড়, জল শব্যের অনুকরণে), গদগদ, বর্বর (অস্পষ্টভাষী ), কঙ্কণ । দ্বিগুণিত শব্দের এক অংশ ক্রমে বিকৃত হইয়াছে এমন দৃষ্টান্তও অনেক আছে ; যথা কর্কশ, কঙ্কর, ঝঞ্চা, বম্ভর (ভ্রমর ), চঞ্চল । অসংযুক্ত ভাবে দ্বিগুণীকরণের দৃষ্টান্ত সংস্কৃতে যথেষ্ট আছে, যথা, কালে কালে, জন্মজন্মনি, নব নব, উত্তরোত্তর, পুনঃ পুনঃ, *পীত্ব, পীত্বা, ” যথা যথা, যদ্যৎ, অহরহঃ, প্রিয়:প্রিয়ঃ, স্থখ-মুখেন, । পুঞ্জপুঞ্জেন । এই দৃষ্টান্তগুলিতে হয় পুনরাবৃত্তি, নয় প্রগাঢ়তার ভাব ব্যক্ত হইতেছে। যতদূর দেখিয়াছি তাহাতে বাংলায় শব্বদ্বৈতের প্রাদুর্ভাব যত বেশি, অন্য আর্য্য ভাষায় তত নহে । বাংলা শব্দদ্বৈতের বিধিও বিচিত্র ; অধিকাংশ স্থলেই সংস্কৃত ভাষায় তাহার তুলনা

  • ों७ध्न धांध्र न ।

দৃষ্টাস্তগুলি একত্র করা যাক। মধ্যে মধ্যে, বারে বারে, পরে পরে, পায় পায়, পথে পথে, ঘরে ঘরে, হাড়ে হাড়ে, কথায় কথায়, ঘণ্টায় ঘণ্টায়—এগুলি পুনরাবৃত্তিবাচক । বুকে বুকে, মুখে মুখে, চোখে চোখে, কাঠে কাঠে, পাথরে পাথরে, মানুষে মানুষে,—এগুলি পরস্পর সংযোগবাচক । সঙ্গে সঙ্গে, আগে আগে, পাশে পাশে, পিছনে পিছনে, মনে মনে, তলে তলে, পেটে পেটে, ভিতরে ভিতরে, বাইরে বাইরে,