পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や শব্দতত্ত্ব ওকারান্ত উচ্চারণ করি । * বস্তুতঃ বাংলায় অকারাস্ত বিশেষ্য শব্দ অতি অল্পই দেখা যায় ; অধিকাংশই বিশেষণ। যথা, বড়ো, ছোটো, মাঝে ( মাঝে, মেঝে), ভালো, কালো, খাটো (ক্ষুদ্র), জড়ো, (পুঞ্জীকৃত ) ইত্যাদি । বাকী অনেকগুলা বিশেষণই আকারাস্ত ; যথা, কাচ, পাকা, বাকা, ভেড়া, সোজা, সিধা, শাদা, মোটা, কুল, বোবা, কালা, ন্তাড়, কানা, তিতা, মিঠা, উচ, বোকা ইত্যাদি। マR1 2ーj和l পূৰ্ব্বোক্ত আকারাস্ত বিশেষণগুলিকে আ প্রত্যয়যোগে নিম্পন্ন বলিয়া অকুমান করিতেছি । সংস্কৃত শব্দ কাণ, বাংলায় বিশেষণ হইবার সময় কানা হইল, মৃত হইতে মড়া হইল, মহৎ হইতে মোট হইল, সিত হইতে শাদা হইল। এই আকারগুলি উচ্চারণের নিয়মে আপনি আসে নাই। বিশেষণে হলন্ত প্রয়োগ বর্জন করিবার একট। চেষ্টা বাংলায় আছে বলিয়াই যেখানে সহজে অন্য কোনে স্বরবর্ণ জোটাইতে পারে নাই, সেই সকল স্থলে আ প্রত্যয় যোগ করিয়াছে ! ংস্কৃত ভাষার “স্বার্থে ক” বাংলায় অ প্রত্যয়ের আকার ধারণ করিয়াছে। ঘোটক, ঘোড়া ; মস্তক, মাথা ; পিষ্টক, পিঠা ; কণ্টক কাট ; চিপিটক চিড়া ; গোপালক, গোয়ালা ; কুল্যক, কুলা । বাংলায় অনেক শব্দ আছে যাহা কখনো বা স্বার্থে আ প্রত্যয় • বাংলা অ অনেকস্থলেই হ্রস্ব ওকারের স্তার উচ্চারিত হয়। আমরা লিখি যত, উচ্চারণ করি যতো, লিখি বড়, উচ্চারণ করি বড়ো। উড়িয়ার বড় বাঙালীর বড়র সহিত তুলনা করিলে দুই অকারের প্রভেদ বুঝা যাইবে।