পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOS বাংলা সাময়িক-পত্ৰ শ্রাবণ, ১২৫৭ । এই মাসের প্রথম দিবসে আমারদিগের (সুহাম্বিত সহযোগি রসসাগর সম্পাদক বাবু ক্ষেত্ৰমোহন বন্দ্যোপাধ্যান্য মহাশষ নিদারুণ জ্বরধিকারে আক্রাপ্ত হুইযা মানবিলালা সম্বরণ করেন । ক্ষেত্ৰমোচনেৰ মৃত্যুর পর রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সংবাদ রসসাগর’ পত্রের পরিচালনভার গ্ৰহণ কবেন । তিনি খিদিরপর্ব হই৩ে প্রতি সোম, বুধ ও শুক্ৰ বঁটারে ইহা প্ৰকাশ করিতেন । ১২৫৯ সালের শৈশাখ ( ১২ এপিল ১৮৫২) মাস হইতে রঙ্গলাল পত্রিকাথানির নামকৰণ করেন—‘সংবাদ সাগর’ । গুপ্ত-কবি লিখিয়াছিলেন,- আমাবদিগের স্নেহান্বিত সহযোগী রসসাগর সম্পাদক নুতন বৎসরের শুঙাগমনে রসসাগরকে রসহীন করিয়াছেন, অর্থাৎ পূৰ্ব্বে পত্রের নাম ‘রসসাগর’ ছিল, এইক্ষণে ‘সংবাদ সাগর’ হইয়াছে, এই রসাভাধ জন্য পত্র আরো রসময় হইখছে, কারণ সাগরই রসের আকার, সাগরেই সুধা এবং সাগরেই রত্ন, অওএব প্রার্থনা, এই সাগর পূৰ্ব্বে রসসাগর ছিল, অধুনা যশঃ সাগর হউক । ( ‘সংবাদ প্রভাকরা”। ১৪ এপ্রিল ১৮৫২ ) রঙ্গলাল কৃতিত্বের সঠি", ১২৫৯ সাল পৰ্য্যন্ত ‘সংবাদ সাগর’ সম্পাদনা করিষা ছিলেন । SS gDLLSK SDDDD SBD Tggg DJDSS ttgLBB SDDJg sBBS uBBuB SLgK লিখিয়াছিলেন রসসাগর রসহীন হুইয়া সাগর দেহ ধারণ করত সংপ্ৰতি কিছুদিনের নিমিও প্রবাহশূন্য হইলেন । ‘সংবাদ সাগর’ রহিত হইবার পর রঙ্গলাল ‘সংবাদ প্রভাকরে’ (১৬ জুন ১৮৫৩) একথাশি পত্র প্রকাশ করেন । গুপ্ত কবির মন্তব্য সহ উচ্ছা নিম্নে মুদ্রিত হইল :- অামারদিগের জীবনাধিক স্নেহান্বিত সল্লেখ্যক সুকবি সহযোগী সাগর সম্পাদক শ্ৰী ২৩ বাবু রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সংপ্ৰতি কোন বিশেষ কাৰ্য্যানুরোধ বশতঃ সাগরপত্র সম্পাদনে স্বাবকাশশূন্য হইবায় তদ্বিষয় সাধারণের সুগোচর করুণার্থ অনুগ্রহ পূর্বক আমাকদিগকে যে এক পত্র প্রেরণ করিয়াছেন আমরা অতিশয় দুঃখিত হইয়া সাদরে সেই পত্র নিম্নভাগে প্ৰকটন করিলাম, “শ্ৰীযুত সংবাদ প্রভাকর সম্পাদক মহাশয় সমীপেযু। বিহিত সম্বোধন পুরঃসর নিবেদনমিদং । অনুগ্রহ পূর্বক বিহিত স্বাণী সহ সম্পাদকীয় উক্তিস্থলে নিম্নলিখিত বিষয় প্রকাশ পূর্বক বাধিত করিবেন।

  • শ্ৰীমন্মথনাথ ঘোষ ‘রঙ্গলাল” পুস্তকের -৯৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,-“অসুসন্ধানে অবগত হওয়া যায় ক্ষেত্রমোহন ‘রস মুদাগর’ নামক পত্রের সম্পাদক ছিলেন, এবং প্রভাকরে ‘রপসাগরের’ উল্লেখ মুদ্রাকরের প্রমাদ বলিয়া বোধ হয়। রঙ্গলাল যে প্রথম হইতে উক্ত পত্রের সম্পাদক ছিলেন, তাহাতে এক্ষণে আমাদের সন্দেহ নাই।” গুপ্ত-কবির লেখায় মুদ্রাকার-প্ৰমাদ ঘটে নাই । যথোপযুক্ত অনুসন্ধান না-করা পৰ্যন্ত মন্মথবাৰু এতটা নিঃসন্দেহ না হইলেই পারিতেন।