পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐर्थभ श्रटिश्छल, اموالاس- وامالا S হইয়াছে এবং এই ১৫ই তারিখেই ‘ওরিয়েণ্টাল স্টারে’র সাহেব সম্পাদক সেই পত্রিকা দৃষ্ট সেই দিনই তাহার উপর মন্তব্য লিখিয়াছেন ও সেই মন্তব্য তাহার পরের দিন অর্থাৎ ১৬ই প্রকাশিত হইয়াছে-এই জাতীয় তৎপরতা সে-যুগে সম্ভব ছিল কি না, বিশেষভাবে বিবেচ্য। সে-যুগের ছাপাখানা ও সংবাদপত্র পরিচালন ব্যাপারে যাহাঁদের জ্ঞান আছে, তাহারাই বুঝিবেন, ইহার মধ্যে কোন গলতি থাকা সম্ভব। আমার বিশ্বাস, এই সংবাদের অর্থ‘বাঙ্গাল গেজেট’ প্ৰকাশের আয়োজন আরম্ভ হইয়াছে ; “the publication • • •has been commenced” কথাগুলির দ্বারা সম্পাদক মহাশয় ইহাই বুঝাইতে চাহিয়াছেন। এই সকল কারণে “বাঙ্গাল গেজেট’ প্ৰকাশের সঠিক কাল নিরূপণ বিষয়ে ‘ওরিয়েণ্টাল স্টারে’র সংবাদটি নিঃসংশয়ে গ্ৰহণ করা যায় না। পূর্বোন্ধুত বিজ্ঞাপন হইতে আমরা জানিতে পারি যে, ‘বাঙ্গাল গেজেট” পত্রে সরকারী বিজ্ঞাপন, আইন ও কৰ্ম্মচারি-শিয়োগ সংক্রান্ত নানা সংবাদ ও সরল বাংলায় স্থানীয় লোকের রুচিকর নানা কথা স্থান পাইত এবং উহার সড্যাক মাসিক মূল্য ছিল দুই টাকা । সমকালীন সাময়িক-পত্ৰ (Asiatic Journal, July 1819, p. 69) পাঠে আরও জানা যায়, ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে প্ৰকাশিত সহমরণ বিষয়ে রামমোহন রায়ের ‘প্ৰবৰ্ত্তক ও নিধর্তকের সম্বাদ’ ‘বাঙ্গাল গেজেট” পত্রে পুনমুদ্রিত হইয়াছিল। “বাঙ্গাল গেজেটি'র কোন সংখ্যা। এ-পৰ্য্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নাই। বৎসরখানেক চলিবার পর উহার প্রচার রহিত হয়। গসপেল মাগাজীন (মাসিক) । ডিসেম্বর ১৮১৯৷৷ B. A. M. S. - Baptist Auxiliary Missionary Society & tertsvs. ‘গসপেল মাগাজীিন” এই সময়ের দ্বিতীয় মাসিকপত্র এবং খ্ৰীষ্টীয় তত্ত্ব বিষয়ে সর্বপ্রথম সাময়িক-পত্রে। ইহা দ্বিভাষিক ছিল ; প্রতি পৃষ্ঠার বাম স্তম্ভে ইংরেজী, দক্ষিণ স্তম্ভে বঙ্গানুবাদ থাকিত । গসপেল মাগাজীনে'র প্রথম সংখ্যার প্রকাশকাল-ডিসেম্বর ১৮১৯ । পরী-বৎসর জানুয়ারি মাস হইতে ইহার একটি বাংলা সংস্করণও প্রকাশিত হয় ; ইহাতে ইংরেজী-বাংলা সংস্করণের তুলনায় বিষয়-সংখ্যা অল্পই থাকিত । ব্ৰাহ্মণ সেবধি । সেপ্টেম্বর ১৮২১ । “কোন বিজ্ঞ ব্যক্তি দূর দেশহইতে কয়েক প্রশ্ন সম্বলিত।” একখানি পত্র ১৪ জুলাই ১৮২১ তারিখের ‘সমাচার দর্পণে' প্ৰকাশ করেন। রামমোহন রায় এই পত্ৰখানিকে মিশনারীদেব তরফ হইতে হিন্দুধর্মের প্রতি অযথা আক্রমণ বোধে প্রতিবাদ করা সঙ্গত মনে করিয়াছিলেন। তিনি তদীয় পণ্ডিত শিৰ প্ৰসাদ শৰ্ম্মার নামে প্রশ্নগুলির উত্তর ‘সমাচার দর্পণে’ পাঠাইবার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু “সমাচার দর্পণ-সম্পাদক উহার সমগ্ৰ অংশ ব্যবহার করিতে না পারায় পরবর্তী.১লা সেপ্টেম্বর তারিখের পত্রে এইরূপ মন্তব্য করেন :-