পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sኒዓ ډډوالا --- سالاسلالا ,qچtBچtfه ۹۹}2 হইলেন। তিনি বিলাতের কর্তৃপক্ষের সমর্থন পাইয়া ৪ মার্চ ১৮২৩ তারিখে এক কড়া প্রেস-আইন লিপিবদ্ধ করেন। পরবত্তী ৪ঠা এপ্রিল সুগ্ৰীম কোর্টে রেজেস্বীকৃত হইয়া এই আইন জারি হয়। এই নূতন আইনের প্রথম ফলস্বরূপ রামমোহন রায়-সম্পাদিত ‘মীরাৎউলু-আখাবার’ বন্ধ হইয়া যায় ; পত্রের শেষ সংখ্যায় তিনি যাহা লেখেন, তাহা অনুদিত হইয়া ১৮২৩ সনের ১০ই এপ্রিল ‘ক্যালকাটা জৰ্ণালে’ প্ৰকাশিত হয়। নিয়ে তাহার বঙ্গানুবাদ দেওয়া হইল :- মীরাৎ-উল-আখবার শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ১৮২৩-( অতিরিক্ত সংখ্যা ) পুৰ্ব্বেই জানান হুইয়াছিল যে, সকৌন্সিল মহামান্ত গবৰ্ণর-জেনারেল কর্তৃক এবাটি আইন ও নিয়ম প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে, যাহার ফলে অতঃপর এই নগরে পুলিস অ্যাপিসে স্বত্বাধিকারীর দ্বারা হলফ না করাইয়া ও গবৰ্মেন্টের প্রধান সেক্রেটরির নিকট হইতে লাইসেন্স না লইয়া কোন দৈনিক, সাপ্তাহিক বা সাময়িক-পত্রে প্রকাশ করা যাইবে না এবং ইহার পরও পত্রিকা সম্বন্ধে অসপ্তষ্ট হইলে গবৰ্ণর-জেনারেল এই লাইসেন্স প্ৰত্যাহার করিতে পরিবেন। এখন জ্ঞাত করা যাইতেছে যে, ৩১এ মার্চ তারিখে সুগ্ৰীম কোর্টের বিচারপতি মাননীয় স্তর ফ্রান্সিস ম্যাকৃদনটেন এই আইন ও নিয়ম অনুমোদন করিয়াছেন । এই অবস্থায় কতকগুলি বিশেষ বাধার জন্য, মনুষ্য-সমাজে সর্বাপেক্ষা নগণ্য হইলেও আমি অত্যন্ত অনিচ্ছা! ও দুঃখের সহিত এই পত্রিকা ( “মীরাৎ-উপ-আখাবার’ ) প্ৰকাশ বন্ধ করিলাম। বাধাগুলি હરે 3– প্রথমতঃ, প্রধান সেক্রেটরির সহি৩ যে-সকল ইউরোপীয় ভদ্রলোকের পরিচয় আছে, ভঁহাদের পক্ষে যথারীতি লাইসেন্স গ্ৰহণ অতিশয় সহজ হইলেও আমার মত সামান্য ব্যক্তির পক্ষে দ্বারবান ও ভৃত্যদের মধ্য দিয়া এইরূপ উচ্চপদস্থ ব্যক্তির নিকট যাওয়া অত্যন্ত দুরূহ ; এবং আমার বিবেচনায় যাহা নিম্প্রয়োজন, সেই কাজের জন্য নানাজাতীয় লোকে পরিপূর্ণ পুলিস আদালতের দ্বারা পার হওয়াও কঠিন। কথা আছে, - আব্রু কে বা-সদ খুন ই জিগন্ন দপ্তৰ দিহদ ব-উমেদূ-ই করম-এ, খাজা, ব-দরবান মা-ফন্নোশয় * অৰ্থাৎ-যে-সম্মান হৃদয়ের রক্তবিন্দুর বিনিময়ে ক্রীত, ওহে মহাশয়, কোন অনুগ্রহের আশায় তাহাকে দরোয়ানের নিকট বিক্রয় করিও না । দ্বিতীয়তঃ, প্ৰকাশ্য আদালতে সম্রাস্তু বিচারকদের সমক্ষে স্বেচ্ছায় হলক করা সমাজে অত্যন্ত নীচ ও নিন্দাৰ্থ বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে । তাহা ছাড়া, সংবাদপত্র-প্রকাশের জন্য এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই, যাহার জন্য কাল্পনিক স্বত্বাধিকারী প্রমাণ করিবার মত বেআইনী ও গঠিত কাজ করিতে হইবে । তৃতীয়তঃ, অনুগ্রহ প্রার্থনার অখ্যাতি ও হলক করিবার অসন্মানভাজন হইবার পরও গবর্মেন্ট কর্তৃক লাইসেন্স প্রত্যাহৃত হইতে পারে, এই আশঙ্কার জঙ্ক সেই ব্যক্তিকে