পাতা:বাংলা সাময়িক সাহিত্য.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা সাময়িক সাহিত্য a করিতে হইত। সরকার কর্তৃক সংবাদপত্রশাসূল কিরূপ কঠিন ভাবে চলিয়াছিল তাহা ত্রীরামপুর মিশনের জে. সি. মার্শম্যানের একখানি পত্র হইতে বেশ বুঝা যায়। তিনি লিখিতেছেন, “সম্পাদকীয় মন্তব্যের স্থলে সংবাদপত্রের অনেক স্তম্ভই তারকা-চিহ্নিত হইয়া বাহির হইত ; কেননা, যে-সকল ংশে সেন্সর' তাহার সাজাতিক কলম চালাইতেন, শেষ মুহুর্তে শূন্ত অংশগুলি পূরণ করিয়া দেওয়া সম্ভব হইত না।” দমনকার্য এই ভাবে কয়েক বৎসর চলিবার পর এমন একটি ঘটনা ঘটিল যাহার ফলে গবর্নর জেনারেল লর্ড হেস্টিংস সেন্সর বা সংবাদপত্র-পরীক্ষকের পুদু তুলিয় দেওয়া সমীচীন রোধ করিলেন । , হিটুলী নামে এ দেশীয় একজন সাহেব ‘মর্নিং প্রোস্ট পত্রের স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক হন। তিনিই সর্বপ্রথম সেন্সরের আদেশ অমান্ত করেন। ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে সরকারী সংবাদপত্র-পরীক্ষক ‘মর্নিং পোস্টের একটি সংখ্যার কিয়দংশ ছাপিতে নিষেধ করেন । কিন্তু হিটুলী তাহাতে সম্মত হন নাই । তিনি জানাইয়াছিলেন যে, বঙ্গদেশে তাহার জন্ম, তাহার মাতা এ দেশবাসিনী ; এ অবস্থায় সেন্সরের আদেশ অমান্ত করিলেও তাহার , কোনো শাস্তি হইতে পারে না, যেহেতু এরূপ অপরাধে কেবলমাত্র ইউরোপীয় সম্পাদকদেরই শাস্তির ব্যবস্থা আছে > সেন্সর বেলী সাহেব সংবাদপত্র-পরীক্ষক-পদের অসারত অচিরাং : গবর্নর জেনারেলের গোচর করিলেন। লর্ড হেস্টিংস বিশেষ বিবেচনার । পর সেন্সরের পদ রহিত করিয়া তৎপরিবর্তে সম্পাদকের নির্দেশের । জন্ত কতকগুলি সাধারণ নিয়ম প্রবর্তন করিলেন। দেশীয় সম্পাদকগণকে । শাসন করিকার ক্ষমতা তখন সরকারের হাতে না থাকায় কেবলমাত্র । ইউরোপীয় সম্পাদকগণের জন্য সেন্সরের পদ বাহাল রাখা তিনি সঙ্গত । মনে করেন নাই। ;