পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 8 ; S – S & 3 SS I ৯ জলচর সকলের মধ্যে এই সকল তোমাদের খাদ্য ; যাহাদের ডেন ও আইস আছে, তাহাদিগকে ভোজন ১০ করিতে পার। কিন্তু যাহাঁদের ডেনা ও আইস নাই, তাহাদিগকে ভোজন করিবে না, তাহারা তোমাদের পক্ষে অশুচি । ১১ তোমরা সকল প্রকার শুচি পক্ষী ভোজন করিতে ১২ পার। কিন্তু এইগুলি ভোজন করিবে না ; ঈগল, ১৩ হাড়গিলা ও কুরল, গৃধ, চিল ও আপন আপন জাতি ১৪ অনুসারে শঙ্করাচল, আর আপন আপন জাতি অনু১৫ সারে সকল প্রকার কাক, আর উষ্ট্রপক্ষী, রাত্রিশ্যেন, ১৬ গাংচিল ও আপন আপন জাতি অনুসারে শ্যেন, এবং ১৭ পেচক, মহাপেচক ও দীর্ঘগল হংস ; ক্ষুদ্র পানিভেল, ১৮ শকুনী ও মাছরাঙ্গা, এবং সারস ও আপন আপন জাতি ১৯ অনুসারে বক,টিটিভ ও বাদুড়। আর পক্ষবিশিষ্ট যাবতীয় পোকাও তোমাদের পক্ষে অশুচি ; এ সকল অখাদ্য। ২০ তোমরা সমস্ত শুচি পক্ষী ভোজন করিতে পার । ২১ তোমরা স্বয়ংমৃত কোন প্রাণীর মাংস ভোজন করিবে না ; তোমার নগর-দ্বারের মধ্যবৰ্ত্তী কোন বিদেশীকে ভোজনার্থে তাহ দিতে পার, কিম্বা বিজাতীয় লোকের কাছে বিক্রয় করিতে পার ; কেননা তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র প্রজা । তুমি ছাগবৎসকে তাহার মাতার দুগ্ধে পাক করিবে না। দশমাংশ, অগ্রিমাংশ ও মোচনবৎসরের নিয়ম। তুমি তোমার বীজ হইতে উৎপন্ন যাবতীয় শস্তের, বৎসর বৎসর যাহা ক্ষেত্রে উৎপন্ন হয়, তাহার দশমাংশ ২৩ পৃথক্ করিবে। আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করবেন, সে স্থানে তুমি আপন শস্তের, দ্রাক্ষরসের, ও তৈলের দশমাংশ, এবং গোমেষাদি পালের প্রথমজাতদিগকে তাহার সম্মুখে ভোজন করিবে ; এইরূপে আপন ঈশ্বর সদা২৪ প্রভুকে সর্বদা ভয় করিতে শিক্ষা করিবে। সেই যাত্র যদি তোমার পক্ষে বড় দীর্ঘ হয়, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নাম স্থাপনার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, তাহার দূরত্ব প্রযুক্ত যদি তুমি আপন ঈশ্বর সদপ্রভুর আশীৰ্ব্বাদে প্রাপ্ত দ্রব্য তথায় লইয়া যাইতে না ২৫ পার, তবে সেই দ্রব্যে টাকা করিয়া সেই টকা বাধিয়া হস্তে লইয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত স্থানে ২৬ যাইবে । পরে সেই টক। দিয়া তোমার প্রাণের অভিলষিত গোরু কি মেষ কি দ্রাক্ষায়স কি মদ্য, বা যে কোন দ্রব্যে তোমার প্রাণের বাঞ্ছা হয়, তাহী ক্রয় করিয়া সেই স্থানে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে ২৭ ভোজন করিয়া সপরিবারে আনন্দ করিবে। আর তোমার নগর দ্বারের মধ্যবৰ্ত্তী লেবায়কে ত্যাগ করবে না, কেননা তোমার সহিত তাহার কোন অংশ কি অধিকার নাই । ২৮ তৃতীয় বৎসরের শেষে তুমি সেই বৎসরে উৎপন্ন བ་མ་ གཤྲཱི་ দ্বিতীয় বিবরণ । > や ○ আপন শস্ত্যাদির যাবতীয় দশমাংশ বাহির করিয়া আনিয়া আপন নগর দ্বারের ভিতরে সঞ্চয় করিয়৷ ২৯ রাখিবে , তাহাতে তোমার সহিত যাহার কোন অংশ কি অধিকার নাই, সেই লেৰীয় এবং বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা, তোমার নগর-দ্বারের মধ্যবৰ্ত্ত এই সকল লোক আসিয়া ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে : এইরূপে যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হস্তকৃত সমস্ত কৰ্ম্মে তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করেন। S(。 তুমি সাত বৎসরের শেষে ঋণ ক্ষমা করিবে । সেই ঋণক্ষমার এই ব্যবস্থা ; যে কোন মহাজন আপন প্রতিবাসীকে ঋণ দিয়াছে, সে আপনার দত্ত সেই ঋণ ক্ষমা করিবে, আপন প্রতিবাসী কিম্বা ভ্রাতার নিকট হইতে ঋণ আদায় করিবে না, কেননা সদ৩ প্রভুর [ আদেশে ] ঋণক্ষমার ঘোষণা হইয়াছে তুমি বিজাতীয়ের কাছে আদায় করিতে পার ; কিন্তু তোমার ভ্রাতার নিকটে তোমার যাহা আছে, তাহা তোমার ৪ হস্ত ক্ষমা করিবে । বাস্তবিক তোমার মধ্যে কাহারও দরিদ্র হওয়া অনুপযুক্ত ; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার অধিকারার্থে যে দেশ দিতেছেন, সেই দেশে সদাপ্রভু তোমাকে নিশ্চয়ই আশীৰ্ব্বাদ করবেন : ৫ কেবল তামি আদ্য তোমাকে এই যে সমস্ত অজ্ঞ। দিতেছি, ইহা যত্নপূর্বক পালনার্থে তোমার ঈশ্বর সদ৬ প্রভুর রবে কর্ণপাত করিতে হইবে। কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন তোমার কাছে অঙ্গীকার করিয়াছেন, তেমনি তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিবেন ; আর তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ লইবে না ; এবং অনেক জাতির উপরে কর্তৃত্ব করিবে, কিন্তু তাহারা তোমার উপরে কর্তৃত্ব করিবে না। ৭ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতেছেন, তথাকার কোন নগর-দ্বারের ভিতরে যদি তোমার নিকটস্থ কোন ভ্রাত দরিদ্র হয়, তবে তুমি আপন হৃদয় কঠিন করিও না, বা দরিদ্র ভ্রাতার প্রতি আপন ৮ হস্ত রুদ্ধ করিও না ; কিন্তু তাহার প্রতি মুক্তহস্ত হইয়া তাহার অভাবজন্ত প্রয়োজনানুসারে তাহাকে ৯ অবশ্য ঋণ দিও। সাবধান, সপ্তম বৎসর অর্থাৎ ক্ষমার বৎসর নিকটবৰ্ত্তী, ইহা বলিয়া তোমার হৃদয়ে যেন অধম চিন্তার উদয় না হয় ; তুমি যদি আপন দরিদ্র ভ্রাতার প্রতি অশুভ দৃষ্টি করিয়া তাহাকে কিছু না দেও, তবে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর কাছে প্রাথন ১০ করিলে তোমার পাপ হইবে। তুমি তাহাকে অবশ্য দিবে, দিবার সময়ে হৃদয়ে দুঃখিত হইবে না ; কেনন। এই কাৰ্য্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সমস্ত কৰ্ম্মে, এবং তুমি যাহাতে যাহাতে হস্তক্ষেপ করিবে, ১১ সেই সকলেতে তোমাকে আশীকবাদ করিবেন। কেননা তোমার দেশমধ্যে দরিদ্রের অভাব হইবে না ; অতএব আমি তোমাকে এই আজ্ঞা দিতেছি, তুমি আপন দেশে তোমার ভ্রাতার প্রতি, তোমার দুঃখী ও দীনহীনের প্রতি, তোমার হাত অবশ্য খুলিয়া রাখিবে। 163