পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯ও যোববের জন্ম দিলেন ; এই সকলে যক্তনের সন্তান। ৩০ মেষ অবধি পুৰ্ব্বদিকের সফার পর্বত পৰ্য্যন্ত ৩১ তাহীদের বসতি ছিল ।৩১ আপন আপন গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ, ও জাতি অনুসারে এই সকল শেমের সন্তান । ৩২আপন আপন বংশ ও জাতি অনুসারে ইহার নোহের সন্তানদের গোষ্ঠী ; এবং জলপ্লাবনের পরে ইহাদের হইতে উৎপন্ন নানা জাতি পৃথিবীতে বিভক্ত হইল ।

বাবিলে ভাষা-ভেদ ।


SS সমস্ত পৃথিবীতে এক ভাষা ও একরূপ কথা ছিল। পরে লোকেরা পূৰ্ব্বদিকে ভ্রমণ করিতে ২ করিতে শিনিয়র দেশে এক সমস্থলী পাইয়া সে ৩ স্থানে বসতি করিল ; আর পরস্পর কহিল, আইস, আমরা ইষ্টক নিৰ্ম্মাণ করিয়া অগ্নিতে দগ্ধ করি ; তাহাতে ইষ্টক তাহদের প্রস্তর ও মেটিয়া তৈল চূণ ৪ হইল। পরে তাহার। কহিল, আইস, আমরা আপনাদের নিমিত্তে এক নগর ও গগনস্পর্শী এক উচ্চগৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া আপনাদের নাম বিখ্যাত করি, পাছে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন হই । পরে মনুষ্যসন্তানের যে নগর ও উচ্চগৃহ নিৰ্ম্মাণ করিতেছিল, ৬ তাহ দেখিতে সদাপ্রভু নামিয়া আসিলেন। আর সদাপ্রভু কহিলেন, দেখ, তাহারা সকলে এক জাতি ও এক ভাষাবাদী ; এখন এই কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইল : ইহার পরে যে কিছু করিতে সঙ্কল্প করিবে, তাহ। ৭ হইতে নিবারিত হইবে না। আইস, আমরা নীচে গিয়া, সেই স্থানে তাহীদের ভাষার ভেদ জন্মাই, যেন তাহার এক জন অন্তের ভাষা বুঝিতে ৮ ন পারে। আর সদাপ্রভু তথা হইতে সমস্ত ভূমণ্ডলে তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন, এবং ৯ তাহারা নগর পত্তন হইতে নিবৃত্ত হইল। এই জন্ত সেই নগরের নাম বাবিল (ভেদ] থাকিল ; কেনন। সেই স্থানে সদাপ্রভু সমস্ত পৃথিবীর ভাষার ভেদ জন্মাইয়াছিলেন, এবং তথা হইতে সদাপ্রভু তাহাদিগকে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন করিয়াছিলেন। শেম-বংশের বিবরণ । শেমের বংশ-বৃত্তান্ত এই । শেম এক শত বৎসর বয়সে, জলপ্লাবনের দুই বৎসর পরে, আফক্ষদের ১১ জন্ম দিলেন। আফক্ষদের জন্ম দিলে পর শেম পাচ শত বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন । - ১২ অফক্ষদ পয়ত্রিশ বৎসর বয়সে শেলহের জন্ম ১৩ দিলেন। শেলহের জন্ম দিলে পর অফক্ষদ চারি শত তিন বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন । শেলহ ত্রিশ বৎসর বয়সে এবরের জন্ম দিলেন । У о > 8 আদিপুস্তক । [ > 0 ; ২৯– ১ ২ ; ৩ । ১৫ এবরের জন্ম দিলে পর শেলহ চারি শত তিন বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। ১৬ এবর চৌত্রিশ বৎসর বয়সে পেলগের জন্ম ১৭ দিলেন । পেলগের জন্ম দিলে পর এবর চারি শত ত্রিশ বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্ৰকস্তার জন্ম দিলেন । ১৮ পেলগ ত্রিশ বৎসর বয়সে রিয়ুর জন্ম দিলেন। ১৯ রিয়ুর জন্ম দিলে পর পেলগ দুই শত নয় বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। ২• রিয়ু বত্রিশ বৎসর বয়সে সরূগের জন্ম দিলেন। ২১ সরূগের জন্ম দিলে পর রিয়ু দুই শত সপ্ত বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন । ২২ সরূগ ত্রিশ বৎসর বয়সে নাহোরের জন্ম দিলেন । ২৩ নাহোরের জন্ম দিলে পর সরূগ দুই শত বৎসর জীবৎ থাকিয় আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। ২৪ নাহোর উনত্রিশ বৎসর বয়সে তেরহের জন্ম ২৫ দিলেন । তেরহের জন্ম দিলে পর নাহোর এক শত উনিশ বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্ৰকস্তার জন্ম দিলেন । তেরহ সত্তর বৎসর বয়সে অব্রাম, মাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন । তেরহের বংশ-বৃত্তান্ত এই । তেরহ আব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন। আর হারণ লোটের জন্ম ২৮ দিলেন। কিন্তু হারণ আপন পিতা তেরহের সাক্ষাতে আপন জন্মস্থান কল্দীয় দেশের উরে প্রাণত্যাগ ২৯ করিলেন। অব্রাম ও নাহোর উভয়েই বিবাহ করিলেন ; অব্রামের স্ত্রীর নাম সারী, ও নাহোরের স্ত্রীর নাম মিল্ক । এই স্ত্রী হারণের কন্যা ; হারণ ৩০ মিলকার ও যিস্কার পিতা। সারী বন্ধ্যা ছিলেন, তাহার সন্তান হইল না । আর তেরহ আপন পুত্র অব্রামকে ও হারণের পুত্ৰ আপন পৌত্র লোটকে এবং আব্রামের স্ত্রী সারী নামী পুত্রবধূকে সঙ্গে লইলেন ; তাহারা একসঙ্গে কনান দেশে যাইবার নিমিত্তে কলদীয় দেশের উর হইতে যাত্র করিলেন ; আর হীরণ নগর পয্যন্ত গিয়া ৩২ তথায় বসতি করিলেন। পরে তেরহের দুই শত পাচ বৎসর বয়স হইলে ঐ হারণে তাহার মৃত্যু হইল। অব্রামের বিবরণ। S ૨ সদাপ্রভু আব্রামকে কহিলেন, তুমি আপন দেশ, জ্ঞাতিকুটুম্ব ও পৈতৃক বাট পরিত্যাগ করিয়া, আমি যে দেশ তোমাকে দেখাই, সেই দেশে ২ চল । আমি তোমা হইতে এক মহাজাতি উৎপন্ন করিব, এবং তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া তোমার নাম মহৎ করিব, তাহাতে তুমি আশীৰ্ব্ববাদের আকর ৩ হইবে । যাহার তোমাকে আশীৰ্ব্ববাদ করিবে, তাহাদিগকে আমি আশীৰ্ব্বাদ করিব . যে কেহ তোমাকে অভিশাপ দিবে, তাহাকে আমি অভিশাপ দিব : ミや ミ* ○>