পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 @ 8 ৮ কে কবাট দিয়া সমুদ্রকে রুদ্ধ করিল, যখন তাহ নির্গত হইল, গৰ্ত্তাশয় হইতে বহির হইল ? ৯ তৎকালে আমি মেঘকে তাহীর বস্ত্র করিলাম, ঘন তিমিরকে তাহার পটিকা করিলাম : ১• আমি তাহার জন্ত আমার বিধি নিরূপিলাম, অর্গল ও কবাট স্থাপন করিলাম, ১১ বলিলাম, তুমি এই পর্যন্ত আসিতে পার, আর নয় ; এ স্থানে তোমার তরঙ্গের গৰ্ব্ব নিবারিত হইবে । ১২ তুমি কি আজন্মকাল কখন প্রভাতকে আজ্ঞা দিয়tছ, অরুণকে তাহার উদয়-স্থান জানাইয়াছ ; ১৩ যেন তাহ পৃথিবীর প্রান্ত সকল ধরে, আর দুষ্টগণকে তাহ হইতে ঝাড়িয়া ফেলা যায় ? ১৪ ভূমণ্ডল মুদ্র চিহ্নিত মৃত্তিকাবৎ আকারান্তর প্রাপ্ত হয়, সকলই বস্ত্রের স্যায় প্রকাশ পায় ; ১৫ দুষ্টগণ হইতে তাহদের দীপ্তি নিবারিত হয়, তার উচচ বহি ভগ্ন হয় । ১৬ তুমি কি সমুদ্রের উৎস পশিয়াছ ? জলধি-তলে কি পদার্পণ করিয়াছ ? ১৭ তোমার কাছে কি মৃত্যুর কবাট প্রকাশিত হইয়াছে ? তুমি কি মৃত্যুচ্ছায়ার দ্বার দেখিয়াছ ? ১৮ তুমি কি ভুবনের বিস্তার জ্ঞাত হইয়াছ ? বল, যদি সমস্তই জান । ১৯ দীপ্তির নিবাসে যাইবার পথ কোথtয় ? অন্ধকারেরই বা বাসস্থান কোথায় ? ২• তুমি কি তাহার সীমাতে তাহকে লইয়। যাইতে পার? তাহার গৃহের পথ কি জ্ঞাত আছ ? ২১ আছ বৈ কি, তখন ত তোমার জন্ম হইয়াছিল । তোমার ত অনেক বয়ঃক্রম হইয়াছে । ২২ তুমি কি হিমানী-ভাণ্ডারে প্রবেশ করিয়াছ, সেই করক ভাণ্ডার কি তুমি দেখিয়াছ, ২৩ যাহ। আমি সঙ্কটকালের জন্ত রাখিয়াছি, সংগ্রাম ও যুদ্ধদিনের জন্ত রাখিয়াছি ? ২৪ কোন পথ দিয়া দীপ্তি বিভক্ত হইয়া যায়, ও পূর্ববীয় বায়ু ভুবনময় ব্যাপ্ত হয় ? ২৫ অতিবৃষ্টির জন্ত কে প্রণালী কাটিয়াছে, বজ্ৰ-বিদ্যুতের জন্ত কে পথ করিয়াছে, ২৬ যেন নির্জন দেশে বৃষ্টি পড়ে, নরশূন্ত প্রান্তরে বর্ষ হয়, ২৭ যেন মরুভূমি ও শুষ্ক স্থান তৃপ্ত হয়, এবং কোমল তৃণ উৎপন্ন হয় ? ২৮ বৃষ্টির পিতা কেহ কি আছে ? শিশির-বিন্দুসমূহের জনকই বা কে ? ২৯ নীহার কাহার গৰ্ত্ত হইতে নির্গত হইয়াছে ? আকাশীয় হিমানীর জন্ম কে দিয়াছে ? ৩০ জল জমিয়া প্রস্তরবৎ হয়, জলধির মুখ কঠিন হইয়া যায়। ৩১ তুমি কি কৃত্তিক নক্ষত্রের হার গাখিতে পার ? যুগশীর্ষের কটিবন্ধ কি খুলিতে পার ? ইয়োব। [○レ; レー○> ; ○○。 ৩২ রাশিগণকে কি স্ব স্ব ঋতুতে চালাইতে পার ? স্বতি ও তৎপুত্রগণকে পথ দেখাইতে পার । ৩৩ তুমি কি আকাশমণ্ডলের বিধানকলাপ জান ? পৃথিবীতে তাহার কর্তৃত্ব কি নিরূপণ করিতে পার ? ৩৪ তুমি কি মেঘ পৰ্য্যন্ত তোমার রব তুলিতে পার, যেন বহুজল তোমাকে আচ্ছন্ন করে ? ৩৫ তুমি কি বিদ্যুৎসমূহ পাঠাইলে তাহার। যাইবে ? | তোমাকে কি বলিবে, এই যে আমরা ? ৩৬ কে ঘোর ঘনমালীকে জ্ঞান দিয়াছে ? উদ্ধাকে কে বুদ্ধি দিয়াছে ? ৩৭ কে প্রজ্ঞাবলে মেঘসমূহ গণিতে পারে ? আকাশের কুপাগুলি কে উণ্টাইতে পারে, ৩৮ যাহাতে ধূলা দ্রবীভূত ধাতুবৎ গলিয়া যায়, ও মৃত্তিক জমাট বাধে ? ৩৯ তুমি কি সিংহীর জন্য শিকার অন্বেষিবে ? সিংহশাবকদের ক্ষুধা কি নিবৃত্ত করবে, ৪০ যখন তাহার। গুহ।মধ্যে শয়ন করে, গুপ্ত স্থানে বসিয়া মুগের অপেক্ষায় থাকে ? ৪১ কে দাড়কাককে আহার যোগাইয় দেয়, যখন তাহার শাবকগণ ঈশ্বরের নিকটে অৰ্ভরব করে, ও খাদ্যের অভাবে ভ্রমণ করে ? ○ তুমি কি শৈলবাসী বস্ত ছাগীদের প্রসবকাল জান ? হরিণীর প্রসবের রীতি কি নির্ণয় করিতে পার ? ২ তাহার কত মাস গৰ্ত্ত ধারণ করে, তাহ কি নির্ণয় করিতে পার ? তাহাঁদের প্রসবকাল কি জান ? ৩ তাহার হেঁট হয়, প্রসব করে, অমনি দুঃখ ঝাড়িয়া ফেলে। ৪ তাহীদের শাবকগণ বলবান হয়, তাহীর মাঠে বৃদ্ধি পায়, তাহার। প্রস্থান করে, আর ফিরিয়া আইসে না। ৫ কে বস্ত গৰ্দ্দভকে স্বাধীন করিয়া ছাড়িয়া দিয়াছে ? কে বহু থরের বন্ধন মুক্ত করিয়াছে ? ৬ আমি মরুভূমিকে তাহার গৃহ করিয়ছি, লবণভূমিকে তাহার নিবাস করিয়াছি। ৭ সে নগরের কলরবকে পরিহাস করে, চালকের শব্দ শুনে না । ৮ পর্বতশ্রেণী তাহার চরণিস্থান ; সে যাবতীয় নবীন তৃণাদির অন্বেষণ করে। ৯ গবয় কি তোমার সেবা করিতে সম্মত হইবে ? সে কি তোমার যাবপাত্রের নিকটে থাকিবে ? ১• তুমি কি যোতে গবয়কে সীতায় বাধিতে পার ? সে কি তোমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ তলভূমিতে ময়ি দিবে ? ১১ তাহার বলবহুল্যে তুমি কি তাহীকে বিশ্বাস করবে ? তোমার কৰ্ম্ম কি তাহাকে সমর্পণ করিবে ? ১২ তুমি কি তাহার প্রতি এমন বিশ্বাস রাখিবে যে, সে তোমার শস্ত আনিবে, তাহ থামারে একত্র করিবে ? ১৩ উgপক্ষিণীর ডান উল্লাস করে, 454