পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ○ 。 ৪ সে কি তোমার সহিত নিয়ম করিলে ? তুমি কি তাহাকে লইয়া চির দাস করিবে ? ৫ পক্ষীর সঙ্গে যেমন খেল করে, তেমনি কি তার সঙ্গে খেলা করিবে ? তোমার যুবতীদের জন্ত কি তাহাকে বধিয়া রাখিবে ? ৬ ধীবর-দল কি তাহকে দিয়া ব্যবসায় করিবে ? অংশ অংশ করিয়া কি বণিকৃদিগকে দিবে ? ৭ তুমি কি তাহার চৰ্ম্ম লেহ-ফলায়, তাহার মস্তক ধীবরের টেটায়, বিধিতে পার? ৮ তোমার হস্ত তাহার উপরে রাখ ; যুদ্ধ স্মরণ কর, আর সেরূপ করিও না । ৯ দেখ, তাহাকে ধরিবার প্রত্যাশা মিথ্যা : তাহাকে দেখিবামাত্র লোকে কি পড়িয়া যায় না ? ১• তাহাকে জাগাইবে, এমন সাহসিক কেহ নাই ; তবে আমার সাক্ষাতে কে দাড়াইতে পারে ? ১১ কে অগ্রে আমার উপকার করিয়াছে যে, আমি তাহার প্রত্যুপকার করব ? সমস্ত আকাশমণ্ডলের নীচে সকলই আমার। ১২ তাহার অঙ্গের সম্বন্ধে আমি নীরব থাকিব না, তাহার বিপুল বলের ও শরীরের সৌষ্ঠবের কথা বলিব ] ১৩ তাহার বন্ধ কে খুলিয়া দিতে পারে ? তাহার দন্তশ্রেণীদ্বয়ের মধ্যে কে যাইতে পারে ? ১৪ তাহার মুখের কবাট কে খুলিতে পারে ? তাহার দস্তাবলির চাfর দিকে ত্রাস থাকে। ১৫ তাহার ফলকশ্রেণী শোভা পায়, তাহ মুদ্রাঙ্কিতের স্তায় দৃঢ়রপে বদ্ধ । ১৬ সেই সকল পরস্পর এমন সংলগ্ন যে, তাহার অন্তরালে বায়ু পশিতে পারে না। সেই সকল পরস্পর সংযুক্ত, সেগুলি একত্র সংলগ্ন, কিছুতেই ভিন্ন হয় না। ১৮ তাহার হাচিতে দীপ্তি বিকাশ করে, তাহার নয়ন অরুণের নেত্রচ্ছদের সদৃশ । ১৯ তাহার মুখ হইতে জ্বলন্ত মশাল নির্গত হয়, অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হয়। ২• তাহার নাসারন্ধ হইতে ধুম নির্গত হয়, যেমন তপ্ত হণ্ডিক ও খাগড়ার ধুম । ২১ তাহার নিশ্বাসে অঙ্গার জ্বলিয়৷ উঠে, তাহার মুখ হইতে অগ্নি শখ বাহির হয়। ২২ তাহার গ্রীবায় বল অবস্থিতি করে, তাহার সম্মুখে ত্রাস নৃত্য করে। ২৩ তাহার মাংসের পর্তী পরস্পর সংযুক্ত : তাই তাহার উপরে দৃঢ় ভূত, সরিতে পারে না। ২৪ তাহার হৃৎপিণ্ড প্রস্তরের স্তায় দৃঢ়, যাতার নীচের পাটের স্থায় দৃঢ় । ২৫ সে উঠিলে বলবানেরাও উদ্বিগ্ন হয়, ত্রাসপ্রযুক্ত হতবুদ্ধি হইয় পড়ে। ২৬ খড়েগ তাহাকে আক্রমণ করিলে কিছু হইবে না, বড়শী, বাণ ও সাজোয়। বিফল হয় । Sh ইয়োব। [8 S ; 8 - 8 R ; > o ২৭ সে লৌহকে নড়ার স্যায়, পিত্তলকে পচা কাঠের দ্যায় জ্ঞান করে। ২৮ ধনুৰ্ব্বাণ তাহাকে তাড়াইতে পারে না, তাহার কাছে ফিঙ্গার প্রস্তর তৃণ হইয় পড়ে। ২৯ সে গদাকে তৃণতুল্য জ্ঞান করে, বড়শার ধ্বনিতে হাস্ত করে। ৩০ তাহার তলদেশ শাণিত খোলার দ্যায়, সে কর্দমের উপর দিয়া কাটার ময়ি চালায় । ৩১ সে অগাধ জলকে স্থালীর জলের স্তায় ফুটায়। সে সমুদ্রকে মলমের স্তায় করে। ৩২ তাহার পশ্চাৎ পথ চক্‌মক্‌ করে, জলধি পঙ্ককেশের তুল্য বোধ হয়। ৩৩ পৃথিবীতে তাহার তুল্য কিছুই নাই ; তাহাঁকে নিভাক করিয়া নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। ৩৪ সে যাবতীয় উচ্চবস্তু সন্দর্শন করে, যাবতীয় গৰ্ব্ব-সন্তানের উপরে রাজা হয়। ইয়োবের উক্তি ও শেষকালীন কুশল । পরে ইয়েব সদাপ্রভুকে উত্তর করিয়া কহিলেন, 8२ আমি জানি, তুমি সকলই করিতে পার ; কোন সঙ্কল্প সাধন তোমার অসাধ্য নয় । ৩ এ কে যে জ্ঞান বিন মন্ত্রণাকে গুপ্ত রাখে ? সত্য, আমি তাহাই বলিয়াছি, যাহা বুঝি নাই, যাহা আমার পক্ষে অদ্ভুত, আমার অজ্ঞাত। ৪ বিনয় করি, নিবেদন শুন, আমি কিছু বলি : আমি তোমাকে জিজ্ঞাসি, তুমি বুঝাইয় দেও। ও পূৰ্ব্বে তোমার বিষয় কৰ্ণে শুনিয়াছিলাম, কিন্তু সম্প্রতি আমার চক্ষু তোমাকে দেখিল। ৬ এই নিমিত্তে আমি আপনাকে ঘৃণা করিতেছি, ধুলায় ও ভস্মে বসিয়া অনুতাপ করিতেছি। ৭ ইয়োবকে এই সকল বলিবার পর সদাপ্রভু তৈমনীয় ইলীফসকে কহিলেন, তোমার প্রতি ও তোমার দুই বন্ধুর প্রতি আমার কোপাগ্নি প্রজ্বলিত হইয়াছে, কারণ আমার দাস ইয়োব যেরূপ বলিয়াছে, তোমরা ৮ আমার বিষয়ে তদ্রুপ যথার্থ কথা বল নাই । অতএব তোমরা সাতটা বৃষ ও সাতটা মেষ লইয়া আমার দাস ইয়োবের নিকটে গিয়া আপনাদের নিমিত্তে হোমবলি উৎসর্গ কর। আর আমার দাস ইয়োব তোমাদিগের নিমিত্তে প্রার্থনা করিবে ; কারণ আমি তাহাকে গ্রহ করিব ; নতুবা আমি তোমাদিগকে তোমাদের মুর্থতনুযায়ী প্রতিফল দিব ; কেনন। আমার দাস ইয়েবের স্তায় তোমরা আমার বিষয়ে যথার্থ কথা বল ৯ নাই। তখন তৈমনীয় ইলীফস, শুষ্ঠায় বিলুদদ ও নামার্থীয় সোফর গিয়া সদাপ্রভুর বাক্যানুযায়ী কৰ্ম্ম করিলেন ; আর সদাপ্রভু ইয়োবকে গ্রাহ করিলেন। ১• পরে ইয়োব আপন বন্ধুগণের নিমিত্তে প্ৰাথনা করিলে 456