পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ ৩২ যেন তোমার ওষ্ঠাধর জ্ঞানের কথা পালন করে । ৩ কেননা পরকীয়ার ওষ্ঠ হইতে মধু ক্ষরে, তাহার তালু তৈল অপেক্ষাও স্নিগ্ধ ; ৪ কিন্তু তাহার শেষ ফল নাগদানার দ্যায় তিক্ত, দ্বিধার খড়ে্গর স্যায় তীক্ষু । ৫ তাহার চরণ মৃত্যুর কাছে নামিয়া যায়, তাহার পদবিক্ষেপ পাতালে পড়ে। ৬ সে জীবনের সমান পথ পায় না, তাহার পথ সকল চঞ্চল ; সে কিছু জানে ন । ৭ অতএব বৎসগণ, তামার কথা শুন, আমার মুখের বাক্য হইতে বিমুখ হুইও না । ৮ তুমি সেই স্ত্রী হইতে আপন পথ দূরে রাখ, তাহার গৃহ-দ্বারের নিকটে যাইও না ; ন পাছে তুমি নিজ সন্মান অন্তদিগকে দেও, নিজ বৎসর সকল নির্দয়কে দেও ; ১০ পাছে অপর লোকে তোমার ধনে তৃপ্ত হয়, আর তোমার পরিশ্রমের ফল বিজাতীয়ের গৃহে থাকে ; ১১ পাছে শেষকালে তুমি অনুশোচনা কর, যখন তোমার মাংস ও শরীর ক্ষয় পায় : ১২ পাছে বল, “হয়, আমি উপদেশ ঘৃণা করিয়াছি, আমার চিত্ত অনুযোগ তুচ্ছ করিয়াছে ; ১৩ আমি নিজ গুরুদের কথা শুনি নাই, নিজ শিক্ষকদের বাক্যে কর্ণপাত করি নাই , ১৪ তামি প্রায় সৰ্ব্বপ্রকার মনে পড়িয়াছিলাম সমাজের ও মণ্ডলীর মধ্যে ।” ১৫ তুমি নিজ জলাশয়ের জল পান কর, নিজ কুপের স্রোতোজল পান কর। ১৬ তোমার উনুই কি বাহিরে বিস্তারিত হইবে ? চকে কি জলস্রোত হইয়। যাইবে ? ১৭ উহা কেবল তোমারই হউক, তোমার সহিত অপর লোকের না হউক । ১৮ তোমার উনুই ধন্ত হউক, তুমি আপন যৌবনের ভাৰ্য্যায় আমোদ কর । ১৯ সে প্রেমিক। হরিণী ও কমনীয় বাতপ্রমীবৎ : তাহারই কুচযুগ দ্বার। তুমি সৰ্ব্বদ অথ্যায়িত হও, তাহার প্রেমে তুমি সতত মোহিত থাক । ২০ বৎস, তুমি পরকীয়াতে কেন মোহিত হইবে ? বিজাতীয়ার বক্ষ কেন তালিঙ্গন করিবে ? ২১ মনুষ্যের পথ ত সদাপ্রভুর দৃষ্টিগোচর ; তিনি তাহার সকল পথ সমান করেন । * ২২ দুষ্ট নিজ অপরাধসমূহে ধরা পড়ে, সে নিজ পাপ-পাশে বদ্ধ হয়। ২৩ সে উপদেশের অভাবে প্রাণ ত্যাগ করিবে, নিজ অজ্ঞানতার তাধিক্যে ভ্রান্ত হইবে।

  • (বা) তেল করেন ।

53 হিতোপদেশ । | [ ৫ ; ৩ – ৬ ; ২২ ৷ ○ リ তুমি যদি বন্ধুর জামিন হইয়া থাক, যদি অপরের সহিত হন্তে তাল দিয়া থাক, ২ তবে আপন মুখের কথায় ফাদে পতিত হইয়াছ, আপন মুখের কথায় ধৃত হইয়াছ। ৩ এখন, বৎস, তুমি এই কাৰ্য্য কর ; আপনাকে উদ্ধার কর ; যখন তুমি আপন বন্ধুর হস্তগত হইয়াছ, তখন যাও, বিনত হও, বন্ধুর সাধ্যসাধন কর; ৪ তোমার চক্ষুকে নিদ্র। যাইতে দিও না, চক্ষুর পাতাকে মুদ্রিত হইতে দিও না ; ৫ আপনাকে হরিণের দ্যায় [ব্যাধের] হস্ত হইতে, পক্ষীর দ্যায় জালিকের হস্ত হইতে উদ্ধার কর । ৬ হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও । ৭ তাহার বিচারকর্তী কেহ নাই, শাসনকৰ্ত্ত কি অধ্যক্ষ কেহ নাই, ৮ তবু সে গ্রীষ্মকালে আপন খাদ্য প্রস্তুত করে, শস্ত কাটিবার সময়ে ভক্ষ্য সঞ্চয় করে। ৯ হে অলস, তুমি কত কাল শুইয়া থাকিবে ? কখন নিদ্র হইতে উঠিবে ? ১০ * অার একটু নিদ্রা, আর একটু তন্দ্র, তার একটু শুইয়া হস্ত জড়সড় করিব’ ; ১১ তাই তোমার দরিদ্রতা দস্থ্যর দ্যায় আসিবে, তোমার দৈন্তদশ ঢালীর দ্যায় আসিবে। ১২ যে ব্যক্তি পাষণ্ড, যে লোক অপরাধী, সে মুখের কুটিলতায় চলে, ১৩ সে চক্ষু দ্বারা ইঙ্গিত করে, পদ দ্বারা কথা বলে, সে তাঙ্গুলি দ্বারা সঙ্কেত করে, ১৪ তাহার হৃদয়ে কুটিলতা থাকে, সে সতত কুকল্পনা করে, সে বিবাদ খুলিয়৷ দেয়। ১৫ সেই জষ্ঠ্য অকস্মাৎ তাহার বিপদ আসিবে, হঠাৎ সে ভগ্ন হইবে ; আর প্রতীকার হইবে না। ১৬ এই ছয় বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সপ্ত বস্তু তাহার প্রাণের ঘূণাস্পদ ঃ ১৭ উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহবা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত, ১৮ দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কৰ্ম্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ, ১৯ যে মিথ্য সাক্ষী অসত্য কথা কহে, ও যে ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিবাদ খুলিয়া দেয়। ২০ বৎস, তুমি আপন পিতার আজ্ঞা পালন কর, আপন মাতার ব্যবস্থা ত্যাগ কারও না । ২১ উহ। সৰ্ববদ। তোমার হৃদয়ে গাথিয় রাখ, তোমার কণ্ঠদেশে বাধিয়া রাখ। ২২ গমনকালে সে তোমাকে পথ দেখাইবে, শয়নকালে তোমার প্রহরী হইবে, う。 لعة