পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ○8 ৩ সে পুরদ্বার-সমীপে, নগরের অগ্রভাগে, দ্বারের প্রবেশ-স্থানে থাকিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহে, ৪ হে মানবগণ, আমি তোমাদিগকে ডাকি, মনুষ্য সন্তানদের কাছেই আমার বাণী । ৫ হে অবোধেরা, চতুরতা শিক্ষা কর ; হে হীনবুদ্ধি সকল, হুবুদ্ধিচিত্ত হও । ৬ শুন, কেননা আমি উৎকৃষ্ট কথা কহিব, আমার ওষ্ঠীধরের বিকাশ দ্যায়-সঙ্গত। ৭ আমার মুখ সত্য কহিবে, দুষ্টত। আমার ওষ্ঠের ঘূণাস্পদ । ৮ আমার মুখের সমস্ত বাক্য ধৰ্ম্মময় : তাহার মধ্যে বক্র বা কুটিল কিছুই নাই। ৯ বুদ্ধিমানের কাছে সে সকল স্পষ্ট, জ্ঞান প্রাপ্তদের কাছে সে সকল সরল । ১৩ আমার শাসনই গ্রহণ কর, রৌপ্য নয়, উৎকৃষ্ট সুবর্ণ অপেক্ষ জ্ঞান লও। ১১ কেননা প্রজ্ঞা মুক্ত হইতেও উত্তম, কোন অভীষ্ট বস্তু তাহার সমান নয় । ১২ আমি প্রজ্ঞা, চতুরতা-গৃহে বাস করি, পরিণামদৰ্শিতার তত্ত্ব জানি । ১৩ সদাপ্রভুর ভয় দুষ্টতার প্রতি ঘৃণা : অহঙ্কার, দাস্তিকতা ও কুপথ, এবং কুটিল মুখও আমি ঘৃণা করি । ১৪ পরামর্শ ও বুদ্ধিকৌশল আমার, আমিই হবিবেচনা, পরাক্রম তামার। ১৫ আমা দ্বার রাজগণ রাজত্ব করেন, মন্ত্রিগণ ধৰ্ম্মব্যবস্থা স্থাপন করেন। ১৬ অামা দ্বারা শাসনকৰ্ত্তার শাসন করেন, অধিপতির, পৃথিবীর সমস্ত বিচারকত্তা, করেন। ১৭ যাহারা আমাকে প্রেম করে, আমিও তাহাদিগকে প্রেম করি, যাহারা সযত্নে আমার অন্বেষণ করে, তাহারা আমাকে

  • ोंझ ॥ ১৮ আমার কাছে রহিয়াছে ঐশ্বৰ্য্য ও সম্মান,

অক্ষয় সম্পত্তি ও ধাৰ্ম্মিকতা । ১৯ কাঞ্চন ও নিৰ্ম্মল সুবর্ণ অপেক্ষীও আমার ফল উত্তম, উৎকৃষ্ট রৌপ্য হইতেও তামার উপস্বত্ব উত্তম । ২০ অামি ধাৰ্ম্মিকতার মাগে গমন করি, বিচারের পথের মধ্য দিয়া গমন করি, ২১ যেন, যাহার। আমাকে প্রেম করে, তাহাদিগকে সত্ত্ব বান করি, তাহীদের ভাণ্ডার সকল পরিপূর্ণ করি। ২২ সদাপ্রভু নিজ পথের আরম্ভে আমাকে প্রাপ্ত ছিলেন,* তাহার কৰ্ম্ম সকলের পূবেব, পূর্ববাবধি । হিতোপদেশ । 8 و ج -- مع ق مb ] ২৩ আমি স্থাপিত হইয়াছি অনাদি কালাবধি, আদি অবধি, পৃথিবীর উদ্ভবের পূর্বাবধি । ২৪ জলধি যখন হয় নাই, তখন আমি জন্মিয়ছিলাম, যখন জলপূর্ণ উনুই সকল হয় নাই । ২৫ পৰ্ব্বত সকল বসান হইবার পূৰ্ব্বে, উপপৰ্ব্বত সকলের পূৰ্ব্বে আমি জন্মিয়ছিলাম ; ২৬ তখন তিনি স্থল ও মাঠ নিৰ্ম্মাণ করেন নাই, জগতের ধূলির প্রথম অণুও গড়েন নাই। ২৭ যখন তিনি আকাশমণ্ডল প্রস্তুত করেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম : যখন তিনি জলধিপৃষ্ঠের চক্রাকার সীমা নিরূপণ করিলেন, ২৮ যখন তিনি উদ্ধস্থ আকাশ দৃঢ়ৰূপে নিৰ্ম্মাণ করিলেন, যখন জলধির প্রবাহ সকল প্রবল হুইল, ২৯ যখন তিনি সমুদ্রের সীমা স্থির করিলেন, যেন জল তাহার আজ্ঞা উল্লঙ্ঘন না করে, যখন তিনি পৃথিবীর মূল নিরূপণ করিলেন ; ৩০ তৎকালে আমি তাহার কাছে কাৰ্য্যকারী ছিলাম : আমি দিন দিন আনন্দময় স্ট ছিলাম, তাহার সম্মুখে নিত্য আহলাদ করিতাম : ৩১ আমি তাহার ভূমণ্ডলে আহলাদ করতাম, মনুষ্য-সন্তানগণে আমার আনন্দ হইত। ৩২ অতএব বৎসগণ, এখন আমার কথা শুন ; কেননা তাহার। ধন্ত, যাহার। আমার পথে চলে । ৩৩ তোমরা শাসনে অবধান কর, জ্ঞানবান হও ; তাহা অগ্রাহ করিও না । ৩৪ ধন্ত সেই ব্যক্তি, যে আমার কথা শুনে, যে দিন দিন আমার দ্বারে জাগ্রৎ থাকে, আমার দ্বারের চৌকাঠে থাকিয়া অপেক্ষ করে । ৩৫ কেননা যে আমাকে পায়, সে জীবন পায়, এবং সদাপ্রভুর অনুগ্রহ ভোগ করে। ৩৬ কিন্তু যে আমার বিরুদ্ধে পাপ করে, । সে অাপন প্রাণের অনিষ্ট করে : যে সকল লোক আমাকে দ্বেষ করে, তাহার মৃত্যুকে ভাল বাসে । ఏ প্রজ্ঞ। আপন গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে, সে তাহার সপ্ত স্তম্ভ খুদিয়াছে : ২ সে আপন পশুদিগকে মারিয়াছে ; দ্রীক্ষারস মিশ্রিত করিয়াছে, সে আপন মেজও সাজাইয়াছে। ৩ সে আপন দাসীদিগকে পাঠাইয়াছে, সে নগরের উচ্চতম স্থান হইতে ডাকিয় বলে, ৪ * যে অবোধ, সে এই স্থানে আইথক’; যে বুদ্ধিবিহীন, সে তাহাকে বলে,

  • ( বা ) সদাপ্রভু তাপন পথের আদিম্বরূপ আমাকে

গঠন করিলেন ।

  • ( বা ) (তাহার] আনন্দজনক। + ( বা ) যে আমাকে মা পায় ।

534