পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৬৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ ; ১৬ – ১ ; ২১ ৷ ] আমাদের নৃত্য শোকে পরিণত হইয়াছে। ১৬ তামাদের মস্তক হইতে মুকুট খসিয়া পড়িয়াছে, ধিক্ আমাদিগকে। কেনন। আমরা পাপ করিয়াছি। ১৭ এই জন্ত আমাদের অন্ত:করণ মূচ্ছিত হইয়াছে, এই সমস্ত কারণে আমাদের চক্ষু নিস্তেজ হইয়াছে। ১৮ কেননা সিয়োন পর্বত উচ্ছন্ন স্থান হইয়াছে, শৃগালগণ তদুপরি যাতায়াত করে। ১৯ হে সদাপ্রভু, তুমি অনন্তকাল সমাসীন ; বিলাপ – যিহিস্কেল । २२ किङ्खु や や> তোমার সিংহাসন পুরুষানুক্রমে স্থায়ী। ২• কেন চিরতরে আমাদিগকে ভুলিয়। যাইবে ? কেন এত দিন আমাদিগকে ত্যাগ করিয়া থাকিবে ? ২১ হে সদাপ্রভু, তোমার প্রতি আমাদিগকে ফিরাও, তাহাতে আমরা ফিরিব : পূৰ্ব্বকালের সদৃশ নুতন সময় আমাদিগকে দেও। তুমি আমাদিগকে একেবারে অগ্রাহ করিয়াছ, আমাদের প্রতি অতিশয় ক্রোধাবিষ্ট হইয়াছ । যিহিস্কেল ভাববাদীর পুস্তক। যিহিস্কেলের দৃষ্ট দর্শন ও ভাববাদি-পদে প্রতিষ্ঠা । Ş ত্রিংশ বৎসরের চতুর্থ মাসে, মাসের পঞ্চম দিবসে, যখন আমি কবার নদীতীরে নির্বাসিতগণের মধ্যে ছিলাম, তখন স্বৰ্গ খুলিয়া গেল, আর ২ আমি ঈশ্বরীয় দর্শন প্রাপ্ত হইলাম। রাজা যিহেীয়াখীনের নিববাসের পঞ্চম বৎসরের ঐ মাসের পঞ্চম দিনে ৩ কল্দীয়দের দেশে কবার নদীতীরে বুষির পুত্র যিহিস্কেল যাজকের নিকটে সদাপ্রভুর বাক্য আসয় উপস্থিত হইল, এবং সেই স্থানে সদাপ্রভু তাহার উপরে হস্তীৰ্পণ করিলেন। ৪ আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, উত্তরদিক্ হইতে ঘূর্ণবায়ু, বৃহৎ মেঘ ও জাজ্বল্যমান অগ্নি আসিল, এবং তাহার চারিদিকে তেজ ও তাহার মধ্যস্থানে অগ্নির ৫ মধ্যবৰ্ত্তী প্রতপ্ত ধাতুর স্তায় প্রভা ছিল । আর তাহার মধ্য হইতে চাfর প্রাণীর মূৰ্ত্তি প্রকাশ পাইল । তাহা৬ দের আকৃতি এই ; তাহদের রূপ মনুষ্যবৎ। আর প্রত্যেকের চারি চারি মুখ ও প্রত্যেকের চারি চারি ৭ পক্ষ । তাহদের চরণ সোজ, পদতল গোবৎসের পদতলের দ্যায়, এবং তাহার। পরিস্কৃত পিত্তলের তেজের ৮ দ্যায় চাকচক্যশালী । তাহীদের চারি পার্থে পক্ষের নীচে মানুষের হস্ত ছিল ; চারি প্রাণীরই এইরূপ ৯ মুখ ও পক্ষ ছিল ; তাহদের পক্ষ পরস্পর সংযুক্ত ; গমনকালে তাহার। ফিরিত না, প্রত্যেকে সম্মুখ দিকে ১• গমন করিত। তাঁহাদের মুখের আকৃতি এই ; তাহীদের মানুষের মুখ ছিল, আর দক্ষিণদিকে চারিটর সিংহের মুখ, এবং বামদিকে চারিটার গোরুর মুখ, ১১ আবার চাfরটর ঈগল পক্ষীর মুখ ছিল। উপরিভাগে তাহদের মুখ ও পক্ষ বিভিন্ন ছিল, এক একটার দুই দুই পক্ষ পরস্পর যোড় ছিল, এবং আর দুই দুই পক্ষে ১২ গাত্র আচ্ছাদিত ছিল । আর তাছার প্রত্যেকে সম্মুখ দিকে গমন করিত ; যে দিকে যাইতে আত্মার ইচ্ছ। হচত, তাহার। সেই দিকে গমন করিত গমনকালে ১৩ ফিরিত না । এই আকৃতিবিশিষ্ট প্রাণীদের আভা প্রজ্বলত অঙ্গার ও মশালের আভার সদৃশ ; [সেই অগ্নি ] ঐ প্রাণীদের মধ্যে গমনাগমন করিত, সেই অগ্নি তেজোময়, ও সেই অগ্নি হইতে বিদ্যুৎ নির্গত ১৪ হইত। আর ঐ প্রাণিগণের দ্রুত যাতায়াত বিদ্যুল্লতার আভার সদৃশ । ১৫ আমি যখন ঐ প্রাণীদিগকে অবলোকন করিলাম, দেখ, ভুতলে ঐ প্রাণীদের পার্থে চারি মুখের এক এক১৬ টীর জষ্ঠ এক এক চক্র ছিল। চারি চক্রের আভা ও রচনা বৈদূৰ্য্যমণির প্রভার স্থায় ; চারিটার রূপ একই, এবং তাহদের আভা ও রচনা চক্রের মধ্যস্থিত চক্রের ১৭ দ্যায় ছিল । গমনকালে ঐ চারি চক্র চারি পার্থে গমন ১৮ করিত, গমনকালে ফিরিত না । তাহদের নেমি উচ্চ ও ভয়ঙ্কর, এবং সেই চরিটার নেমির চারিদিক ১৯ চক্ষুতে পরিপূর্ণ ছিল । আর প্রাণিগণের গমনকালে তাহদের পার্শ্বে ঐ চক্রগুলিও গমন করিত - এবং প্রাণিগণের ভূতল হইতে উথাপিত হইবার সময়ে চক্র২০ গুলিও উথাপিত হইত। যে কোন স্থানে আত্মার ইচ্ছা হইত, সেই স্থানে তাহার। যাইত ; সেই দিকেই আত্মার যাইবার ইচ্ছ। হইত ; আর তাহদের পার্শ্বে পার্শ্বে চক্রগুলিও উঠিত, কেননা সেই প্রাণীর আত্মা ঐ চক্র২১ গণে ছিল। উহার যখন চলিত, ইহারাও তখন চলিত : এবং উহার যখন স্থগিত হইত, ইহারাও তখন স্থগিত হইত ; আর উহার যখন ভূতল হইতে উথাপিত হইত, চক্রগুলিও তখন পার্থে পার্থে উথাপিত হুইত, কেননা সেই প্রাণীর আত্ম। ঐ চক্রগণে ছিল। 669