পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>->) е তোমরা নিশ্চয় জানিতেছ, বেঙ্গাগামী কি অশুদ্ধাচারী কি লোভী—সে ত প্রতিমাপুজক —কেহই খ্ৰীষ্টের ও ৬ ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না। অনর্থক বাক্য দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে না ভুলায় ; কেননা এই সকল দোষ প্রযুক্ত অবাধ্যতার সন্তানগণের উপরে ৭ ঈশ্বরের ক্রোধ বৰ্ত্তে। অতএব তাহদের সহভাগী হইও ৮ না ; কারণ তোমরা এক সময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে দীপ্তি হইয়াছ ; দীপ্তির সন্তানদের দ্যায় ৯ চল—কেননা সৰ্ব্বপ্রকার মঙ্গলভাবে, ধাৰ্ম্মিকতায় ও ১• সত্যে দীপ্তির ফল হয়-প্রভুর প্রীতিজনক কি, তাহার ১১ পরীক্ষা কর । আর অন্ধকারের ফলহীন কৰ্ম্ম সকলের সহভাগী হইও না, বরং সেগুলির দোষ দেখাইয় দেও। ১২ কেননা উহারা গোপনে যে সকল কৰ্ম্ম করে, তাহ ১৩ উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়। কিন্তু দোষ দেখাইয়৷ দেওয়া হইলে সকলই দীপ্তি দ্বারা প্রকাশ হইয় পড়ে ; বস্তুতঃ যাহা প্রকাশ হইয়া পড়ে, তাহা সকলই ১৪ দীপ্তিময়। এই জন্ত উক্ত আছে, “হে নিদ্রাগত ব্যক্তি, জাগ্রত হও, এবং মৃতগণের মধ্য হইতে উঠ, তাহাতে খ্ৰীঃ তোমার উপরে আলোক উদয় করিবেন ।” অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ ; অজ্ঞানের দ্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের স্থায় ১৬ চল । সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ । ১৭ এই কারণ নিবোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, ১৮ তাহা বুঝ। আর দ্রাক্ষরসে মত্ত হইও না, তাহাতে ১৯ নষ্টামি আছে ; কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও । গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীৰ্ত্তনে পরস্পর আলাপ কর : আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য ২০ কর ; সৰ্ব্বদা সৰ্ব্ববিষয়ের নিমিত্ত আমাদের প্রভু যীশু ২১ খ্রষ্টের নামে পিতা ঈশ্বরের ধষ্ঠ্যবাদ কর ; খ্রষ্টের ভয়ে এক জন অন্ত জনের বশীভুত হও । স্ত্রীপুরুষ প্রভৃতির কৰ্ত্তব্য । ২২ নারীগণ, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ ২৩ স্বামীর বশীভূত হও। কেননা স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্ৰীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক ; ইনি আবার দেহের ত্রাণ২৪ কৰ্ত্ত ; কিন্তু মণ্ডলী যেমন খ্রষ্টের বশীভুত, তেমনি নারীগণ সৰ্ব্ববিষয়ে আপন আপন স্বামীর বশীভুত হউক। ২৫ স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্ৰীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর ২৬ তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন ; যেন তিনি জলস্নান দ্বারা বাক্যে তাহাকে শুচি করিয়া ২৭ পবিত্র করেন, যেন আপনি আপনার কাছে মণ্ডলীকে প্রতাপাম্বিত অবস্থায় উপস্থিত করেন, যেন তাহার কলঙ্ক বা সঙ্কোচ বা এই প্রকার আর কোন কিছু না ২৮ থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও অনিন্দনীয় হয়। এইরূপে স্বামীরাও আপন আপন স্ত্রীকে আপন আপন দেহ বলিয়া প্রেম করিতে বাধ্য। আপন স্ত্রীকে যে প্রেম > (t ইফিষীয় । | טא כי ;ن - وه و 3 ] ২৯ করে, সে আপনাকেই প্রেম করে। কেহ ত কখনও নিজ মাংসের প্রতি দ্বেষ করে নাই, বরং সকলে তাহার ভরণ পোষণ ও লালন পালন করে ; যেমন খ্ৰীষ্টও ৩০ মণ্ডলীর প্রতি করিতেছেন ; কেননা আমরা তাহার ১১ দেহের অঙ্গ। “ এই জন্ত মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং সেই ৩২ জুই জন একাঙ্গ হইবে।” * এই নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, কিন্তু আমি খ্রষ্ট্রের উদ্দেশে ও মণ্ডলীর উদ্দেশে ইহ ৩৩ কহিলাম। তথাপি তোমরাও প্রত্যেকে আপন আপন স্ত্রীকে তদ্রুপ আপনার মত প্রেম কর ; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে। Wり সন্তানেরা, তোমরা প্রভুতে পিতামাতার আজ্ঞাবহ হও, কেননা তাহ দ্যায্য । “তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও,”—এ ত প্রতিজ্ঞা৩ সহযুক্ত প্রথম আজ্ঞা—“ যেন তোমার মঙ্গল হয়, এবং ৪ তুমি দেশে দীর্ঘায়ু হও।” + আর পিতারা, তোমরা আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, বরং প্রভুর শাসনে ও চেতনা প্রদানে তাহাদিগকে মানুষ করিয়া তুল। ৫ দাসের, তোমরা যেমন খ্রীষ্টের আজ্ঞাবহ, তেমনি ভয় ও কম্প সহকারে, তোমাদের অন্তঃকরণের সরলতায়, মাংস অনুযায়ী আপন আপন প্রভুদিগের ৬ আজ্ঞাবহ হও ; মনুষোর তুষ্টিকরের স্থায় চক্ষুষ সেবা না করিয়া, বরং খ্রষ্টের দাসের স্থায় প্রাণের সহিত ঈশ্বরের ৭ ইচ্ছা পালন করিতেছ বলিয়া, মনুষ্যের সেবা নয়, বরং প্রভুরই সেবা করিতেছ বলিয়া, প্রণয় ভাবেই দাস্যকৰ্ম্ম ৮ কর ; জানিও, কোন সৎকৰ্ম্ম করিলে প্রত্যেক ব্যক্তি প্রভু হইতে তাহার ফল পাইবে, সে দাস হউক কি ৯ স্বাধীন হউক। আর প্রভুগণ, তোমরা তাহীদের প্রতি তদ্রুপ ব্যবহার কর, ভর্ৎসনা ত্যাগ কর, জানিও, তাহাদের এবং তোমাদেরও প্রভু স্বর্গে আছেন, আর তিনি কাহারও মুখাপেক্ষা করেন না । ধৰ্ম্ম-যুদ্ধের সজ্জা ও অস্ত্রশস্ত্র । ১• শেষ কথা এই ; তোমরা প্রভুতে ও তাহার শক্তির ১১ পরাক্রমে বলবান হও । ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাড়াইতে ১২ পার । কেননা রক্তমাংসের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে না, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, ১৩ স্বগীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত । এই জন্ত তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর, যেন সেই কুদিনে প্রতিরোধ করিতে এবং সকলই সম্পন্ন করিয়া দাড়াইয়৷ ১৪ থাকিতে পার। অতএব সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি ১৫ হইয়া, ধাৰ্ম্মিকতার বুকপাট পরিয়া, এবং শান্তির স্বসমাচারের স্বসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাড়াইয়া ১৬ থাক ; এই সকল ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর যাহার

  • আদি ২ ; ২৩,২৪ + যা ২০ ; ১২ । দ্বিঃ , ১৬ ।

190