পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* o 8 ১৮ দ্বিগুণ সমাদরের যোগ্য গণিত হউন । কারণ শাস্ত্রে বলে, “শস্যমৰ্দ্দনকারী বলদের মুখে জালতি বাধিও ন৷ ” ১৯ আর, কার্য্যকারী আপন বেতনের যোগ্য । * দুই তিন জন সাক্ষী ব্যতিরেকে কোন প্রাচীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০ গ্রাহ্য করিও না । যাহারা পাপ করে, তাহাদিগকে সকলের সাক্ষাতে অনুযোগ কর ; যেন অন্য সকলেও ২১ ভয় পায় । আমি ঈশ্বরের, খ্ৰীষ্ট যীশুর ও মনোনীত দূতগণের সাক্ষাতে তোমাকে এই দৃঢ় আজ্ঞা দিতেছি, তুমি পূৰ্ব্বধারণা ব্যতিরেকে এই সকল বিধি পালন ২২ কর, পক্ষপাতের বশে কিছুই করিও না। কাহারও উপরে হস্তীর্পণ করিতে সত্বর হইও না, এবং পরপাপের ২৩ ভাগী হইও না : আপনাকে শুদ্ধ করিয়া রক্ষা কর। এখন অবধি কেবল জল পান করিও না, কিন্তু তোমার উদরের জন্য ও তোমার বার বার অসুখ হয় বলিয়া কিঞ্চিৎ ২৪ দ্রীক্ষারস ব্যবহার করিও । কোন কোন লোকের পাপ হস্পষ্ট, বিচারের পথে অগ্রগামী : আবার কোন কোন ২৫ লোকের পাপ তাহদের পশ্চাদগামী। সৎকৰ্ম্মও তদ্রুপ সুস্পষ্ট , আর যাহা যাহা অন্যবিধ, সেগুলি গুপ্ত রাখিতে পারা যায় না । ○ _"" লোক যোয়ালির অধীন দাস, তাহার আপন আপন কৰ্ত্তাদিগকে সম্পূর্ণ সমাদরের যোগ্য জ্ঞান করুক, যেন ঈশ্বরের নাম এবং শিক্ষা নিন্দিত ২ না হয়। আর যাহাদের বিশ্বাসী কর্তা আছে, তাহারা তাহাদিগকে ভ্রাত বলিয়া তুচ্ছ জ্ঞান না করুক ; বরং আরও যত্নে দাস্যকৰ্ম্ম করুক, কেননা যাহারা সেই সদব্যবহারের ফল ভোগ করেন, তাহারা বিশ্বাসী ও প্রেমের পাত্র । ৩ এই সকল শিক্ষা দেও ও অনুনয় কর । যদি কেহ অন্যবিধ শিক্ষা দেয়, এবং নিরাময় বাক্য, অর্থাৎ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বাক্য, ও ভক্তির অনুরূপ ৪ শিক্ষা স্বীকার না করে, তবে সে গৰ্ব্বান্ধ, কিছুই জানে না, কিন্তু বিতণ্ডা ও বাগযুদ্ধের বিষয়ে রোগগ্রস্ত হইয়াছে ; এ সকলের ফল মাৎসর্যা, বিরোধ, বিবিধ ৫ নিন্দ, কুসন্দেহ, এবং নষ্টবিবেক ও হীনসত্য লোকদের চিরবিসংবাদ ; এ প্রকার লোকেরা ভক্তিকে লাভের ৬ উপায় জ্ঞান করে। বাস্তবিকই ভক্তি, সন্তোষযুক্ত হইলে, ৭ মহালাভের উপায়, কেননা আমরা জগতে কিছুই সঙ্গে আনি নাই, কিছুই সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইতেও ৮ পারি না ; কিন্তু গ্রাসাচ্ছাদন পাইলে আমরা তাহাতেই

  • দ্বি বি ২৫ : ৪ । লুক ১০ ৭ । اوند : واد f Riية اه د ة هة د fa fa :

১ তীমথিয় । [ ৫ ; ১৮–৬ ; ২১ ৷ ৯ সস্তুষ্ট থাকিব। কিন্তু যাহারা ধনী হইতে বাসন করে, তাহারা পরীক্ষাতে ও ফাদে এবং নানাবিধ মূঢ় ও হানিকর অভিলাষে পতিত হয়, সে সকল মনুষ্যদিগকে ১০ সংহারে ও বিনাশে মগ্ন করে। কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল ; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে। ১১ কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বপ্নের লোক, এই সকল হইতে পলায়ন কর ; এবং ধাৰ্ম্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাস, প্রেম, ১২ ধৈর্য্য, মৃদু ভাব, এই সকলের অনুধাবন কর। বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর ; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞ স্বীকার করিয়াছ । ১৩ সকলের জীবনদাতা ঈশ্বরের সাক্ষাতে, এবং যিনি পন্তীয় পীলাতের কাছে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞারাপ সাক্ষ্য দিয়াছিলেন, সেই খ্ৰীষ্ট যীশুর সাক্ষাতে, আমি তোমাকে এই ১৪ আজ্ঞা করিতেছি, তুমি ধৰ্ম্মবিধি নিষ্কলঙ্ক ও অনিন্দনীয় রাখ ; প্রভু যীশু খ্রষ্টের সেই প্রকাশপ্রাপ্তি পর্য্যন্ত, ১৫ যাহা সেই পরমধন্য ও একমাত্র সম্রাট, রাজত্বকারীদের রাজা ও প্রভূত্বকারীদের প্রভু, উপযুক্ত সময়-সমূহে ১৬ প্রদর্শন করিবেন : যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, অগম্য দীপ্তিনিবাসী, র্যাহাকে মনুষ্যদের মধ্যে কেহ কখনও দেখিতে পায় নাই, দেখিতে পারেও না ; তাহারই সমাদর ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হউক । আমেন । ১৭ যাহার এই যুগে ধনবান, তাহাদিগকে এই আজ্ঞা দেও, যেন তাহারা গর্বিতমনা না হয়, এবং ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের ন্যায় সকলই আমাদের ভোগার্থে যোগাইয়া দেন, সেই ঈশ্বরেরই ১৮ উপরে প্রত্যাশা রাখে ; যেন পরের উপকার করে, সৎক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগী১৯ করণে তৎপর হয় ; এইরূপে তাহারা আপনাদের নিমিত্ত ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করুক, যেন যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে। ২০ হে তীমথিয়, তোমার কাছে যাহা গচ্ছিত হইয়াছে, তাহা সাবধানে রাখ ; যাহ। অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত, তাহার ধৰ্ম্মবিরূপক নিঃসার শব্দড়িম্বর ও ২১ বিরোধ-বাণী হইতে বিমুখ হও ; সেই বিদ্যা অঙ্গীকার করিয়া কেহ কেহ বিশ্বাস সম্বন্ধে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়াছে। অনুগ্রহ তোমাদের সহবন্ত্ৰী হউক । 204