পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতি ও শিল্প ు లిd মতে বসে’ থাকে জাতকে বধিবার পাশ আর জাতকে মারবার অঙ্কুশ দুই অস্ত্র সর্বদা উচিয়ে । - g আগেও ছিলেন এখনো আছেন অন্ত এক এক শ্রেণীর লোক র্যার বরাভয়-হস্তে বুদ্ধদেবের মতো দ্বারে দ্বারে হেঁটে বেড়ান, সমস্ত মানবজাতির হাতে ভিক্ষা নিয়ে তারা জগৎবাসীকে ধন্য করে যান, অভয় দিয়ে নির্ভয় করেন, বর দিয়ে শক্তিমান করেন । ঘুমন্ত জাতির মুম্ষু জাতির’আশার প্রদীপের শিখা এই সব জাগ্রত মানব-আত্মা র্যারা রাত্রির অন্ধকারের মধ্য দিয়ে আলো বহন করে আনেন। কালসূত্রে ধরা রইলো কালকের সকালের সঙ্গে আজকের সকাল, কালকের জাতির সঙ্গে আজকের জাতি, কাব্যকলা সঙ্গীতকলা শিল্পকলা জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে প্রাচীন ভারতবর্ষের জাতীয় জীবনটিও তেমনি কালসূত্রে গাথা রইলো—বেজোড় মুক্তা ! আজকের আমাদের জাতির উপরে সব চেয়ে যে বড় দায়িত্ব তা হচ্ছে এই অতীত কালের মালুায় যে বেজোড় মুক্ত ফুলছে তার সঙ্গী আর একটি কালসূত্র গেঁথে যাওয়া । আমাদের জীবন কেমন জিনিষটা ধরে গেল আগেকার জীবনের পাশে এই নিয়ে আমাদের পরে যারা আসবে তারা আমাদের গুণপন বিদ্যা বুদ্ধি সমস্তেরই বিচার করবে । অতীতের পাশে আজ আমরা যাই ধরি, কাচই ধরি মাটির ঢেলাই ধরি কালে সেই আজকে ধরা তুচ্ছ জিনিষ তাও মালার একটা অংশ ধরে থাকবেই—চাদের কোলে কলঙ্কের মতো। পরবর্তী কেউ এসে অমুকুল সমস্ত প্রবন্ধ লিখে কিংবা মাটির ঢেলার আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা দিয়ে হয়তো আমাদের আজকের তুচ্ছ কায সমস্তের গভীর অর্থ বার করে ভবিষ্যতের বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেবে ; কিন্তু এমনো লোক থাকবে সেদিন যে সজোরে এই ঘোরতর রকমে মালা মাটি করাটাকে অভিসম্পাত দিয়ে আজকের অামাদের জাতীয় সভ্যতার বিরুদ্ধে সমালোচনা করে চলবে ক্রমাগত । এই ভাবে হয়তো কত কাল ধরে তা কে জানে মালা ফিরবে অনুকূল ও প্রতিকূল ভাবে জাতিতত্ত্ববিদ্‌ জাতীয় ঐতিহাসিক জাতীয় শিল্প-সমালোচক প্রভৃতির হাতে, মাটির ঢেলার পাশে আর একটি দানা তারা গাথবে না, শুধু হাওয়াই গেঁথে যাবে দিনের পর দিন, তারপর হঠাৎ একদিন সারা দেশ সমস্ত পৃথিবী দেখতে পাবে হয়তো মাটির ঢেলার পাশেই আর একটি অপূর্ব সুন্দর জীবন-বিন্দু ধরা পড়েছে