পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
রূপবিদ্যা

অরুচি নেই। এতকাল ধরে মানুষ বিশ্বের সৌন্দর্য রূপ ভাব সমস্তই উপভোগ করছে কিন্তু কই অরুচি তো নেই দেখায় শোনায় ! তা ছাড়া আর এক রহস্য #३-भाशय যা দেখলে শুনলে শুধু তাই পেয়ে সে চুপ করে বসেও নেই, নিজে দেখাতে শোনাতে চলেছে অক্লান্তভাবে যুগ যুগ ধরে সে ছবি লেখে মূর্তি গড়ে গান গায় কথা বলে-চোখ-জুড়ানে। মন-ভোলানে। কত স্বষ্টি ! বনের কোলেই প্রথম মানুষ ফুলের সঙ্গে পাতার সঙ্গে পশু-পক্ষী, জল-বাতাস এদের সঙ্গে রূপের মধ্যে মুরের মধ্যে ডুবে থাকলে, কিন্তু শুধু দেখেই সে তৃপ্ত হ’ল না, শুনে শুনেও সে বল্লে ন৷ যে যথেষ্ট হ’ল ! মানুষ তখন ঘর বাধতে শেখেনি, গুহায় থাকে, বনে ঘোরে, জীবন্ত হরিণ খেলে’ বেড়ায় চোখের সামনে, দিনের পর দিন পার্থী গেয়ে চলে ফুল ফোটে পাতা খোলে পাতা ঝরে--অশেষ ছবি অশেষ মুর। তাই দেখে মানুষ গাছের ছবি লেখে, ফুল লেখে, পাতা লেখে, হরিণের ছায়ামূর্তি লেখে—ঘরের দেওয়াল ভর্তি করে লেখে। ময়ূর নাচে কোকিল ডাকে কিন্তু মানুষ ঐটুকু দেখেই খুসি হয়ে নকল নিতে বসে না—সে নিজের নাচ নিজের সাড়া খুজে খুজে বার করে । তার নাচ ময়ুরের নাচের তার সাড়া কোকিলের সাড়ার প্রতিধ্বনি করে না, নতুন সুরে নতুন ছন্দে প্রকাশ পায়। ক্রমে বিশ্বের রূপ সমস্তকে বিরাট ভাঙ্গাগড়ার মধ্য দিয়ে মানুষ চালাতে চলে, স্বর সমস্তকে নিয়ে খেলতে খেলতে মুরের সৃজন করতে থাকে, চরাচরের চলাচল নাট্যরূপে নতুন করে দেখিয়ে যায় সে, চোখ-জুড়ানে। মন-ভোলানে ষড়ঋতুর সৌন্দর্য ছবিতে মূর্তিতে নাচে গানে ধরে রেখে যায়। মানুষ কোন আদি যুগ থেকে এই খেলা খেলেছে তার ঠিক ঠিকানা নেই, আজও তার খেলা বন্ধ হ’ল না—এ কি রহস্য এ কেমন খেলা ! মানুষ কোন কালে ছবি লিখে লিখে খেলতে মুরু করেছে—আজও সেই সেই খেলাই চল্লে ; মানুষের এ খেলায় অরুচি হ’ল না কেন ? স্বরের যত রকম খেলা হতে পারে মানুষ তা খেল্পে, নাচের ভঙ্গি কথার ছন্দ রঙ রেখার ছন্দ সব নিয়ে খেল্লে মানুষ ; কিন্তু সে খেলেষ্ট চল্লেী, থামলে О. Р. 14—33