পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
রূপবিদ্যা
২৬৩

ও ধর্মজগৎ রসের দ্বারায় আপ্লুত হচ্ছে, শ্রান্তিহরা নব রমের ধারা বষিত হচ্ছে চিত্তক্ষেত্রে মানুষের। | রূপবিদ্যার চর্চা তাে তুচ্ছ করবার মতো নয়। এ সেই আদি যুগ থেকে মানুষের সহচর, এর ব্যাপার সমস্ত যুগযুগান্তর ধরে মানুষের। অন্তরে বাহিরে যা ব্যাপার ঘটছে তার পথ দেখায় অভ্রান্ত পরিষ্কার ভাবে। আলাের কম্পন ইথরের সাড়া প্রভৃতি ব্যাপার কোন্ কালে কোন্ মানুষের মধ্যে কোন্ দেশে কোন্ বছরের কোন্ মাসের কোন তারিখে প্রথম ধরা পড়লে এটা জানা যেমন দরকারি ঠিক ততখানি দরকারি রূপবিদ্যার চর্চা করতে করতে খুঁজে পাওয়া কোনাে একটা রূপ-সৃষ্টির আদ্যন্ত ইতিহাস। রেখার নানা কম্পনকে কি ভাবে মানুষের প্রতিভা একটার পর একটা আবিষ্কার করে গেল তার কথা সম্পূর্ণভাবে ধরা পড়লে একটা বিস্ময়কর ইতিহাস খুলে যাবে আমাদের কাছে। শুধু ছবি মৃতির দিক দিয়ে রূপবিদ্যার চর্চা, তার মধ্যেও এত অদ্ভুত রহস্য মানুষের ইতিহাসে রয়েছে যে বলবার নয়। | টেলিগ্রাফের বিনা তারের খবরের ব্যাপার যে কি ভাবে সারা পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে’ চল্লো দেশের পর দেশ সাগরের পর সাগর অতিক্রম করে তার ইতিহাস যেমন বিচিত্র তেমনই অদ্ভুত। এমনি একটা নয় অনেকগুলো কাণ্ড রূপজগতে ঘটে গেছে। | দাড়ি আর কসি এই নিয়ে এতটুকু স্বস্তিক চিহ্নটি কালচক্রের সঙ্গে সঙ্গে এক ধম এক সভ্যতা এমনি এক এক দেশের সংস্পর্শে কি ভাবে এল নানা দিক দিয়ে তা জেনে নিতে হলে পৃথিবী ব্যেপে যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চলতে হয় ; একটি শঙ্খলত। এই বাঙলার রূপবিদ্যার ইতিহাসের একটা গভীর রহস্য লুকিয়ে রেখেছে। প্রাচীনকালের গ্রীক স্পাইরাল পেঁচ আর বাংলায় ব্রতচারিণীদের শঙ্খলতা একই, কিন্তু এদের উৎপত্তি এক সময়ে নয়, এক সভ্যতা থেকে নয়, দুই বিভিন্ন দেশ দুই বিভিন্ন কালে একে ফুটিয়ে গেল—এ কেন হ’ল কেমন করে হ’ল, নিতে হলে যুগযুগান্তরের মধ্য দিয়ে চলে যেতে হয় কত দেশের কত শিল্পের আচারের ব্যবহারের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে তার ঠিক নেই। রূপবিদ্যার দিক দিয়ে যুগ যুগান্তরের মানবজাতির কর্মকাণ্ডের