পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
আর্য ও অনার্য শিল্প
৩১৩

পাথরে কি কাঠে অথবা মাটিতে কিংবা চিত্রে তারা ফুটিয়েছিলেন কি না তা জানার উপায় নেই। কিন্তু ইন্দ্ৰধ্বজ আর যুপ এই ছটির গড়ন এখনো আমাদের চোখের সামনে রয়েছে যা থেকে আর্যেতর জাতিগণের শিল্পকলার সঙ্গে আর্যদের শিল্পকলার সাদৃশ্ব অনেকখানি ধরা পড়ে । বৈদিক যুগের আর্যগণ শিল্পী হিসেবে তৎকালীন আর্যেতর জাতিগণের চেয়ে খুব যে বড় ছিলেন না তার প্রমাণের অভাব নেই, র্তাদের অস্ত্রশস্ত্র যানবাহন সবই আর্যেতরগণের অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ছিল কি না সে বিষয়েও সন্দেহ থেকে যায়। সেই বৈদিক যুগে ঋষিগণের চিন্তা এবং কল্পনা এবং ভাষা উৎকৃষ্টতর এ কথাও জোর করে বলা যায় না। সবেমাত্র সব দিক দিয়ে উন্মেষের অবস্থা তখন ফুটতে চাচ্ছে, কিন্তু ফোটেদি তখনো সবই। একেশ্বরের উপমা খুজতে গিয়ে তখনে৷ আরণ্যক ঋষিদের মধ্যে অরণ্যদেবতার প্রাচীন বনস্পতি মূর্তিটি সুস্পষ্ট হ’য়ে উঠছে, তারা বলছেন,—“বৃক্ষৈব স্তব্ধো দিবি তিষ্ঠত্যেকঃ” । অনার্য অবস্থার সেই বনস্পতি দেবতার কথা! বৈদিক যুগ চলে গেল, নতুন নতুন চিন্তা কল্পনা করে চল্লো মানুষ, কিন্তু সেখানেও এল সেই অতি পুরাতন কল্পবৃক্ষ নন্দনের পারিজাত যার ছায়ায় তেত্রিশ কোটি দেবতার লীলা চল্লে। বৌদ্ধযুগ প্রকাণ্ড এক ওলট পালট আনলে চিন্তায় ধমে কর্মে, কিন্তু সেখানেও প্রথমে পাথরে অটুট করে ধরা গেল অক্ষয়বটের স্মৃতি । খুবই আধুনিক বৈষ্ণব ধম সেখানেও গাছ পূজা পেলে—গহন বনের তুলসী গাছ। সেই আর্ঘেতর অবস্থার অরণ্যদেবৃত৷ সে বারে বারে জানিয়ে দিলে আর্যগণ কোন দূর আরণ্যক অবস্থার স্মৃতি বহন করে চলেছে,—উত্তরের নদী যেমন তুহিনকণা বহন করে’ চলে দক্ষিণ সমুদ্রে। স্বষ্টির কথা স্রষ্টার কথা বলতে আর্যেরা বল্লেন— *ইদম্ বা অগ্ৰে নৈব কিঞ্চিৎ আসীৎ” ইত্যাদি। নিউজিলাণ্ডের অনার্য তারাও এই স্বষ্টি-রহস্য কি ভাবে বর্ণন করলে দেখ— “Io dwelț within the breathing space of Immensity. The Universe was in darkness, with water everywhere There was no glimmer of dawn, no clearness, no Light, And he began by saying these words,-‘That he О. Р. 14—4о